ঢাকা: আবাহনী অধিনায়ক তামিম ইকবালের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে বিকেএসপির তিন নম্বর ভেন্যুতে সুপার লিগের ম্যাচ বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। ৪৫ ওভারের ম্যাচে আবাহনীর দেয়া ১৯২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা দোলেশ্বরের ইনিংস ১৭ ওভার অতিবাহিত হলে আম্পায়াররা তামিম ইকবালের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারদের একটি সিদ্ধান্ত তামিম মেনে নিতে পারেননি। ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও তানভির হায়দারকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন তামিমসহ আবাহনীর সমর্থকরা। ইনিংসের ১৫.৪ ওভারে সাকলাইন সজীবের বলে রকিবুল হাসান তখন ব্যাট করছিলেন। একটি স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনে সাড়া না দিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আবাহনী শিবির। পরে আম্পায়াররা ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে মাঠ ছাড়েন।
১৭ ওভার খেলে দুই উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তোলে দোলেশ্বর।
সকালে বৃষ্টির কারণে দেড় ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচটি। ৪৫ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.৪ ওভারে ১৯১ রানে সবকটি উইকেট হারায় আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান।
১৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অভিষেক মিত্র (০) ও তামিম ইকবালের (৩) উইকেট হারায় আবাহনী। দু’জনকেই সরাসরি বোল্ড করেন পেসার আল আমিন হোসেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস জুটি বেধে বিপর্যয় সামাল দেন। ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলীয় শতরান পার করেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ১০২ রানে ৪৮ করে লিটন দাস আউট হলে ভাঙে জুটিটি। এরপর আর কোনো বড় জুটি গড়তে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। আবাহনীর ভারতীয় রিক্রুট যশপাল সিং ৯ রান করেন নাসির হোসেনের বলে এলবিডব্লুউ হন। দলীয় ১৩৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আবাহনী। ৭১ রান করে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে যান। ১১৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে তিনি দলকে মাঝারি-মানের সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান।
সাকিব আল হাসান সাত নম্বরে ব্যাটিং নেমে ১৪ বল খেলে ১৮ রান করে আউট হন। শেষ দিকে সাকলাইন সজীব ১৯ ও তাসকিন আহমেদ ১০ রান যোগ করলে দু’শোর কাছাকাছি সংগ্রহ পায় আবাহনী।
দোলেশ্বরের আল আমিন হোসেন ও সাঞ্জামুল ইসলাম নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। ৯ ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন নাসির হোসেন। শচীন বেবি নিয়েছেন একটি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ১২ জুন ২০১৬ আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা
এসকে/এমআরপি