মিরপুর থেকে: শিরোপার রেস থেকে আগেই ছিটকে পড়া প্রাইম ব্যাংক স্পোর্টিং ক্লাবকে ১১৫ রানে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও ‘যদি’ ‘কিন্তু’র উপর দাঁড়িয়ে তাদের শিরোপা জয়ের ব্যাপারটি।
সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে আবাহনী-দোলেশ্বর স্থগিত ম্যাচটি নিয়ে আজ (বুধবার ২২ জুন) সিদ্ধান্ত হয় । বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ সম্মেলন করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। যেখানে সেই ম্যাচটি আবারো খেলা হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি। ফলে ওই ম্যাচটি নতুন করে মাঠে গড়ালে শিরোপা-স্বপ্ন বেঁচে থাকবে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের। বুধবার বিকেএসপিতে দোলেশ্বর শেষ রাউন্ডে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে হারিয়েছে ৭ উইকেটে।
তাদের এখন ২০ পয়েন্ট। পুনরায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলে আর তাতে জয় পেলে আবাহনীর সমান ২২ পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ থাকবে দোলেশ্বরের। পয়েন্ট সমান হলে ‘হেড টু হেড’ তার পর ‘রান রেট’ বিবেচনায় যারা এগিয়ে থাকবে তারাই জিতবে শিরোপা। ১২ জুনের স্থগিত ম্যাচটির পয়েন্ট ১-১ ভাগ করে দেয়া হলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আজই শিরোপা জয়ের উৎসব করবে আবাহনী।
শিরোপা জয়ের পথে থাকা আবাহনী আজ শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সহজেই হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংককে। আবাহনীর দেয়া ৩১৭ রানের বড় টার্গেটে ভালো সূচনার ২০১ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। সাব্বির রহমান-নুরুল হাসানদের বিপক্ষে আজ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব। একাই ৭ উইকেট নেন এ স্পিনার। সাকলাইনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে প্রতিরোধের দরজা বন্ধ হয়ে যায় ব্যাংকের। পেসার তাসকিন আহমেদ নেন দুটি উইকেট।
ওপেনিং জুটির ৭২ রান পর্যন্ত সাবলীল ক্রিকেট খেলে প্রাইম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন ওপেনার মেহেদি মারুফ। শেষ দিকে শুভাগত হোম করেন ৫১ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও তামিম ইকবাল( ১৪২) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের (৭৮) দুর্দান্ত দুটি ইনিংসে ঠিকই রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই আবাহনী শিবিরে আঘাত হানেন রুবেল হোসেন। চতুর্থ বলেই লিটন দাসকে (০) ফেরান এ পেসার। তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলান তামিম ইকবাল। দলীয় ৫০ রানে পেসার নাজমুল ইসলামের শিকার হন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন (১৭)। একটু ধীরে ব্যাট চালিয়ে দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে ৪৭ রানের আরেকটি জুটিতে নেতৃত্ব দেন তামিম।
দলীয় ৯৭ রানে কার্তিককে (২৫) সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান নাজমুল ইসলাম। চাপে পড়া আবাহনীর ত্রাতার ভূমিকায় অবর্তীন হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তামিম-মোসাদ্দেক জুটি ১৭৩ রান যোগ করলে বড় সংগ্রহের দিকে ধাবিত হয় আবাহনী। শুরু থেকেই দলের হাল ধরা তামিম শেষ পযন্ত ১৩২ রান ১৪২ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি।
১১৪ বলে সেঞ্চুরি পূন করা তামিম শেষ ১৮ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় নামের পাশে যোগ করেন আরও ৪২ রান। ৭৪ বলে ৭৮ রান করে মোসাদ্দেক আউট হন ইনিংসের ৪৭তম ওভারে। উন্মুখ চাঁদের শিকার হন এ তরুণ ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে আবুল হাসান ১০ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৬ রান করলে তিন’শ পেরোয় আবাহনী।
৯ ওভার ৫৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন উন্মুখ চাঁদ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও নাজমুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২২ জুন, ২০১৬
এসকে/এমএমএস