ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন বাংলাদেশের ক্রিকেটেও একদিন হবে’

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
‘অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন বাংলাদেশের ক্রিকেটেও একদিন হবে’ ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: আগের চেয়ে ব্যাটিংয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে নিজের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারছেন ২০০৮ থেকে ২০১১ এ তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে ৫৫টি ওয়ানডে খেলা রকিবুল হাসান। ত্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে বাংলাদেশ দলকে ভালো কিছু দেয়ার নতুন মনছবি দেখছেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন, প্রিমিয়ার লিগে ব্যক্তিগত ও দলগত পারফরম্যান্স এবং বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দল নিয়ে রকিবুল হাসান কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে।

বাংলানিউজ: ২০০৮ থেকে ২০১১ এই তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে ৫৫টি ওয়ানডে খেলেছেন? ধারাবাহিকভাবেই দলে ছিলেন ওই তিনটা বছর। পাঁচ বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে। খারাপ লাগে না?                             
রকিবুল হাসান: আসলে এটা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। এটা সত্যিই অনেক কষ্টের। তবে, এটাই আসলে বাস্তবতা, মেনে নিতেই হবে। আমাদের জাতীয় দলে দুর্দান্ত কিছু তরুণ ক্রিকেটাররা এসেছে। বিশেষ করে ওয়ানডে টিমের যে কম্বিনেশন, এক কথায় অসাধারণ। সেদিক থেকে প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও এ বছর জাতীয় লিগ, বিসিএল, প্রিমিয়ার লিগ-সবখানেই ভালো খেলেছি। সেই স্বপ্ন (জাতীয় দলে ফেরা), সে আশা মনে রেখেই তো হার্ডওয়ার্ক করা। আমি আশাবাদী। যারা দায়িত্বে আছেন অবশ্যই তারা বিবেচনা করবেন।

বাংলানিউজ: অনেকের মনেই একটা ধারণা চলে এসেছে। জাতীয় দল থেকে বাদপড়া প্লেয়ারদের বয়স ত্রিশের কাছাকাছি চলে ফেরা সম্ভব হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে এমন নজিরও নেই। আপনিও তো ত্রিশের কাছাকাছি (২৮ বছর ২৬৩ দিন) চলে এসেছেন। স্বপ্নটা ধরে রাখতে পারবেন তো?

রকিবুল হাসান: অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন সারা বিশ্বেই করা হচ্ছে। আমি আশা করি অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন বাংলাদেশের ক্রিকেটেও একদিন হবে। একজন ব্যাটসম্যানের বয়স যখন ২৫ থেকে ৩০ হয়, ওটাই তাদের আসল সময় পুরোপুরি পারফর্ম করার। ইতিবাচক ভাবতে চাই, নেতিবাচক ভাবনা হলে আর হবে না। আমি চাই, যে অপূর্ণতা ছিল সেটি পূর্ণ করে দেশকে আরও কিছু দেয়ার। আমরা যারা সিনিয়র ক্রিকেটার আছি, যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছি আমাদের সুযোগ দেয়া হোক। হয়তো হবেও। আশা করি এমন সিদ্ধান্ত বিসিবি নেবে। সিনিয়র কিছু ক্রিকেটারকে ফিরিয়ে আনলে দল ও দেশের জন্য ভালো হবে। আশা করি আমাদের নিয়ে পূর্ণ একটা পরিকল্পনা বিসিবি করবে।

বাংলানিউজ: জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার আগের সময়টায় ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না। সে জন্য কি এখন আক্ষেপ হয়?

রকিবুল হাসান: ৫০ এর উপরে ওয়ানডে খেলেছি আমি। একটা ব্যাটসম্যানের গ্রাফ সবসময় একরকম যায় না। কখনো ভালো যায়, কখনো খরাপ যায়। দল থেকে যখন বাদ পড়ি প্রায় ৩০ এভারেজ নিয়ে খেলেছি যেটা তখনকার জাতীয় দলের জন্য ভালোই ছিল। তারপরও আক্ষেপ তো হয়ই। সুযোগগুলো আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যেত।
 
বাংলানিউজ: ভুল শুধরে জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী আপনি?

রকিবুল হাসান: আমার যে ল্যাকিংস ছিল সেটা নিয়ে কাজ করছি মেন্টালি এবং টেকনিক্যালি। ইমপ্রুভমেন্ট বুঝতে পারছি। আমি আশাবাদী। প্রিমিয়ার লিগের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে যতটা কঠিন মনে হচ্ছে অতটা কঠিন হবে না। এই ফর্মটা ধরে রাখার জন্য যতটা কাজ করা দরকার আমি করবো। সে ইচ্ছা ও চেষ্টা আমার আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ২৭ জুন ২০১৬
এসকে/এমআরপি
**
‘আমরা নিজেদের চ্যাম্পিয়নই মনে করি’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।