ঢাকা: গুলশান জিম্মি সংকটের অবসান হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এর সফল সমাপ্তি হয়।
এদিকে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করছে তারা। কোনো বিধি নিষেধ থাকলে তাদের দল সফরে আসবে না। আসছে সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও মূল্যায়ন করা হবে। সফরের আগে ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ও ব্যাপক নিরীক্ষা করা হবে।
তবে, এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। এছাড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও কোনো শঙ্কার খবর জানানো হয়নি।
শনিবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুলশান ঘটনার রেশ টেনে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজকে নিয়ে শঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে। অথচ কোনো গণমাধ্যমই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। বাংলানিউজের পক্ষ থেকে বিসিবির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্কাইস্পোর্টস তাদের অনলাইনে প্রচার করে, ‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থার উপর মনিটর করছে’। তারা জানায়, দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রতিটি খেলোয়াড় এবং ম্যানেজমেন্টের কর্তা ব্যক্তিদের নিরাপত্তাই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন সিরিজের জন্য তারা বাংলাদেশের কয়েক মাসের ঘটনা সর্বোপরি গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের নিরাপত্তার দেখভাল করা অফিসিয়ালদের পাঠানো হবে।
এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমেও শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে আসন্ন সিরিজটি নিয়ে।
ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের ঔ মুখপাত্র আরও জানান, ‘আমরা এ ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের নিরাপত্তা পরিচালক রেগ ডিকাসনের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তারা যদি জানান, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ সফরে যাওয়া ঠিক হবে না কিংবা সেখানকার পরিবেশ আমাদের জন্য অনুকূল নয়, তাহলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্তই নেব। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিটি দলের বিদেশ সফরের সময় তা করা হয়। ’
গত বছর জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বাংলাদেশ সফরে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
তবে, অস্ট্রেলিয়া না আসলেও বাংলাদেশের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সফল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। কোনো অঘটন ছাড়াই এশিয়া কাপের আসর শেষ হয়েছিল। এমন কি জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুটবল প্রথমে আসতে না চাইলেও ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নিয়ম অমান্য করতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে তারা বাংলাদেশের মাটিতে এসে খেলেছিল কোনো সমস্যা ছাড়াই। তাজিকিস্তান ফুটবল দলও খেলে গিয়েছে অল্প কিছুদিন আগেই।
সেখানে ইংল্যান্ডের না আসার কোনো কারণ দেখছেন না ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য ৩০ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছানোর কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। ঢাকায় এসে ০৪ অক্টোবর ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেওয়ার কথা সফরকারী দলটির। তিনটি ওয়ানডে আর দুটি টেস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভেন্যুতে দুই দলের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
২০০৩ সালের পর সাত বছর বিরতি দিয়ে ২০১০ সালে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে এসেছিল। একই বছর ইংল্যান্ড সফরে যায় টাইগাররা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ০২ জুলাই ২০১৬
এমআরপি