ঢাকা: পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় আসরের খেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। আসন্ন সেই আসরের ফাইনালটি পাকিস্তানের মাটিতে হবে বলে এক সভায় জানিয়েছিলেন লিগের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
গতবার পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে আসর মাতাতে যোগ হয়েছিলেন ক্রিস গেইল, কেভিন পিটারসেন, শেন ওয়াটসন ও ডোয়েন ব্রাভোদের মতো বিশ্ব তারকারা। এবারে যোগ হচ্ছেন ইংল্যান্ডের ইয়ন মর্গান আর নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো তারকা।
নাজাম শেঠি জানান, আমরা প্রথম আসরটি আমিরাতে করেছি। ব্যাপক সাড়া পেয়েছি সেই আসরে। দ্বিতীয় আসরটি আরও বড় আয়োজনের মধ্যদিয়ে করার চেষ্টা হবে। ক্রিকেট পাগলদের মাতিয়ে তুলতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করব। কমিটি চায় প্লেয়ার ড্রাফট, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে ফাইনালের মঞ্চ পর্যন্ত ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলতে। ম্যাককালাম, মর্গানদের মতো লাসিথ মালিঙ্গা আর অ্যালবি মরকেলের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ চলছে। তারাও এই আসরে খেলতে ইচ্ছুক।
চলতি বছরের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলোয়াড়দের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান শেঠি। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী পাঁচটি ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের বেতন বাবদ সর্বোচ্চ ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে পারবে। সর্বোচ্চ ১৬ জন করে ক্রিকেটার দলে টানতে পারবে ফ্যাঞ্চাইজিগুলো।
দ্বিতীয় আসরের ফাইনালটি পাকিস্তানের মাটিতে করার ইচ্ছা রয়েছে শেঠির। বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ভীতি দূর করতেই এমন পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তিনি যোগ করেন, বিদেশি ক্রিকেটারদের পাকিস্তান ভীতি দূর করতে আমাদের দেশে ক্রিকেট আয়োজন করা জরুরি। ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে আমরা লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনালের আয়োজন করতে চাচ্ছি। কেননা দ্বিতীয় আসরের জন্য ইতোমধ্যেই উত্তেজনার মাত্রা অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছে।
গত বছরের আসরটিতে ১৩৮ জন পাকিস্তানিসহ মোট ৩১০ জন ক্রিকেটারকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে খেলোয়াড়দের ড্রাফটে উঠানো হয়। ক্যাটাগরিগুলো ছিলো প্লাটিনাম, ডায়মন্ড, গোল্ড, সিলভার ও ইমারজিং।
এবার এমনটি হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে হতে পারে। গত আসরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পিএসএলের আসরে খেলেছিলেন টাইগারদের ওপেনার তামিম ইকবাল এবং টেস্ট দলপতি মুশফিকুর রহিম। প্রথম আসরে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা খেলেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে। সেবার সাকিব আর মুশফিক খেলেন একই দল করাচি কিংসের হয়ে। অন্যদিকে তামিম ইকবাল খেলেছিলেন পেশোয়ার জালমির হয়ে।
ইমারজিং ক্যাটাগরি নিয়ে শেঠি জানান, গতবার এই ক্যাটাগরিটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। সেবার বলা হয়েছিল ইমারজিং ক্যাটাগরি থেকে ভালো ক্রিকেটার পাওয়া যায় না। তবে, দ্বিতীয় আসরের ইমারজিং ক্যাটাগরিতে অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে ফ্যাঞ্চাইজিগুলোর লাভের চিন্তা মাথায় রেখেই আসরটি আয়োজনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ১২ জুলাই ২০১৬
এমআরপি