ঢাকা: অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মতো বাংলাদেশের মিডিয়াতেও এসেছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি হানিফ মোহাম্মদের মৃত্যুর খবর। সেই খবর ছড়িয়ে পড়লেও হানিফ মোহাম্মদের ছেলে সোয়েব মোহাম্মদ জানান, তার বাবা মারা যাননি।
এর আগে করাচির আগা খান হাসপাতালের চিকিৎসকরা হানিফ মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। আর সেই সূত্রে ক্রিকেট কিংবদন্তি হানিফ মোহাম্মদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়েও পড়েছিল।
জানা যায়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় ছয় মিনিট হানিফ মোহাম্মদের হৃৎস্পন্দন বন্ধ ছিল। কিন্তু, অলৌকিকভাবে ছয় মিনিট পরেই তার হৃৎস্পন্দন পুনরায় শুরু হয়।
কৃত্রিমভাবে শ্বাস–প্রশ্বাস নিতে থাকা এই পাকিস্তানি লিজেন্ডের মৃত্যুর খবর ততক্ষণে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। অবিশ্বাস্যভাবে আবারও তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসলেও পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়, তাকে নিয়ে শঙ্কা কাটেনি। হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ৮১ বছর বয়সী এই লিটল মাস্টার।
নিজের প্রজন্মের বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন হানিফ মোহাম্মদ। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৫৫টি টেস্ট। রান ৪৩.৯৮ গড়ে ৩৯১৫। ১৫টি অর্ধশতকের সঙ্গে রয়েছে ১২টি সেঞ্চুরি। আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩৮ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭,০৫৯ রান, ব্যাটিং গড় ৫২.৩২।
চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানের এই লিটল মাস্টারের পাশে দাঁড়িয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দেশের এই ক্রিকেট কিংবদন্তির চিকিৎসা বাবদ সব খরচ বহন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিন বছর আগে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হন পাকিস্তানের এই ক্রিকেট কিংবদন্তি। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন ৮১ বছর বয়সী এ ব্যাটিং লিজেন্ড। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত ৩১ জুলাই তাকে করাচির হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি