ঢাকা: ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের পুনরাবৃত্তি টানতে পারলো না ইংল্যান্ড। দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পর ইংলিশদের মাটিতে সফরটি স্মরণীয় করে রাখলেন ইউনিস খানরা।
স্কোর: ইংল্যান্ড - ৩২৮ ও ২৫৩
পাকিস্তান - ৫৪২ ও ৪২/০ (১৩.১ ওভার)
এটি ছিল মোহাম্মদ আমিরের প্রত্যাবর্তনের সিরিজ। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে যিনি পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সেবার ছিলেন না মিসবাহ উল হক। মাঝে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত দু’টি টেস্ট সিরিজের দু’টিতেই ইংলিশদের হারায় পাকিস্তান।
এবার মিসবাহর নেতৃত্বে অ্যালিস্টার কুকদের তাদের মাটিতেই সিরিজ উদযাপন থেকে বঞ্চিত করলো দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট পরাশক্তিরা। প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা দুই ম্যাচ জেতা ইংলিশদের লন্ডনের কেনিংটন ওভালে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে টিম পাকিস্তান।
বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহের বিকল্প ছিল না। কিন্তু ইয়াসির-ওয়াহাবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৫৩ রানে গুটিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। কেবলমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো (৮১)। জো রুটের ব্যাট থেকে আসে ৩৯।
অফস্পিনার ইয়াসির শাহ একাই পাঁচ উইকেট দখল করেন। ওয়াহাব রিয়াজ দু’টি ও একটি করে নেন সোহেল খান ও ইফতিখার আহমেদ।
সিরিজে সমতা আনতে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৪০। দুই ওপেনার সামি আসলাম ১২ ও আজহার আলী ৩০ রানে অপরাজিত থেকে ১০ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ৩২৮ রানের জবাবে ইউনিস খানের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫৪২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। ২১৪ রানের লিড-ই ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দেয়।
ম্যাচ সেরা হন ইউনিস খান অার যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন মিসবাহ ও চার ম্যাচে ২৬ উইকেট নেয়া ইংল্যান্ডের ক্রিস উকস।
আগামী ২৪ আগস্ট প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল। পাচ ম্যাচ সিরিজের বাকি চারটি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২৭, ৩০ অাগস্ট, ১, ৪ সেপ্টেম্বর। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ৭ সেপ্টেম্বর। তার আগে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ওডিআই ম্যাচ (১৮ ও ২০ আগস্ট) খেলবে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
এমআরএম