ঢাকা: যতই দিন গড়াচ্ছে বাংলাদেশে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সফর নিয়ে আলোচনা বাড়ছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চিত করেছে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে স্থানীয় নিরাপত্তা এজেন্সি, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করবে।
গত ১ জুলাই গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশে সফর নিয়ে শঙ্কা জাগে। যেখানে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে আসার কথা রয়েছে ইংলিশদের। আর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে ইসিবি প্রতিনিধি দলের মধ্যে থাকবেন ইসিবি’র নিরাপত্তা উপদেষ্টা রেগ ডিকাসন, পিসিএ প্রধান নির্বাহী ডেভিড লেথারডেল ও ইসিবি’র ক্রিকেট অপারেশনের ডিরেক্টর জন কার।
এ ব্যাপারে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বিসিবি’র মিডিয়া চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ইসিবি’র নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলকে আমাদের বোর্ড প্রয়োজনে অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাত করিয়ে দেবে। আর এই দলের সফর তিন দিনের হতে পারে।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা ইসিবি’র সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ করে আসছি। ঢাকায় আসার পর তাদের সঙ্গে ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমাদের নিরাপত্তা দলের সাক্ষাতটি বেশ গুরুত্ব বহন করবে। পাশাপাশি তারা যদি চায় তবে সরকারের ওপরের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তাদের আলোচনা করিয়ে দেওয়া হবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র বাংলাদেশেই না, এটি লন্ডন, প্যারিস অথবা ভারতের মতো দেশেও ঘটেছে। তবে এটার মানে এই নয় যে, খেলা বন্ধ থাকবে। ’
এদিকে বিসিবি’র এই শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অংশগ্রহণকে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা কোনো সমস্যা ছাড়া বড় একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিলাম। যেখানে ইংল্যান্ড তাদের দল পাঠিয়েছিল। আমি অাশাকরি এ ব্যাপারটি তাদের মাথায় থাকবে। আমরা যদি বিশ্বকাপে এতগুলো দলকে নিরাপত্তা দিতে পারি তবে, তাদের চিন্তা করা উচিৎ একটি দলকে নিরাপত্তা দেওয়া আরও সহজ। ’
ক্রিকেট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে ‘জাতীয় আকাঙ্খা’ হিসেবে উল্লেখ করেন ইউনুস। আর তিনি জানান আগের থেকে এখন নিরাপত্তা আরও কঠোর। যেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এ মাঠে ৭ ও ৯ অক্টোবর সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে হবে। সেই সঙ্গে ২৮ অক্টোবর দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিরিজের অন্য ভেন্যু গুলো থাকছে ফতুল্লা ও চট্টগ্রামে।
ইউনুস আরও বলেন, ‘আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ইংল্যান্ডের এই সফরটি এখন জাতীয় ইস্যু। আমি আশা করবো সবাই তার জায়গা থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। এবারের অ্যাক্রিডেশন পদ্ধতিটা আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে দেব। আর স্টেডিয়ামে প্রবেশের মুখে রাখা হবে বাড়তি নিরাপত্তা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ১৬ আগস্ট, ২০১৬
এমএমএস