ঢাকা: ‘আমি আমার গত দু’বছরের পারফরম্যান্সে খুশি। এখন ফিটনেস ও ব্যাটিংয়ের অবস্থা ভাল।
টেস্টে শাহরিয়ার নাফিসকে সবশেষ ব্যাট হাতে দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালে এপ্রিলে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে। আর সব শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১১ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ফলে দীর্ঘ সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকতে হয়েছে এই টাইগার ওপেনার।
দীর্ঘ্য এই সময়ে অনেক বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। দুর্লভ এক একটি জয় ছিনিয়ে এনে নিজেদের নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। অর্জন করেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতাও।
সময় বদলের সাথে সাথে বদলেছে টাইগারদের ব্যাটিং টপ অর্ডারও। পুরোতনদের ভীড়ে দলে আছেন নতুন নতুন প্রতিভাবান এক একজন খেলোয়াড়। ফলে প্রতিযোগি বেড়ে যাওয়ায় দলে সুযোগ পাওয়াটাও এখন বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাহরিয়ারর নাফিসের টপ অর্ডারের কথাই ধরা যাক। তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, আনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার ও লিটন দাস এখন তার জায়গায় খেলছেন।
আর তাদের ভীড়ে দলে জায়গা পাওয়াটা সহজ হবে বলে মনে করছেন না এই বাঁহাতি স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। ‘দলে জায়গা পাওয়া কঠিন হবে। কারণ আমার অর্ডারে এখন ৫-৬ জন প্রতিযোগি। তাদের ভেতর থেকে দলে জায়গা পাওয়ার কাজটি সহজ নয়। তবে এটা দলের জন্য ইতিবাচক। বাংলাদেশ ক্রিকেট আগের চাইতে উন্নতি করেছে এটাই তার প্রমাণ। ’
একথা সত্য যে ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টিতে এখন জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য অনেকটা মায়ের হাতের মোয়ার মতই হয়ে গেছে। তবে টেস্টে টাইগারদের জয়ের চিত্রটি সম্পুর্ণই ভিন্ন।
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ৯৩ টেস্টে বাংলাদেশর জয় মাত্র ৭টিতে। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেই ৮ ম্যাচের একটিতেও। ফলে টেস্ট ফরম্যাটে টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি এখন সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই জয় পেতে ফিল্ডিংয়ের উপর গুরুত্বারোপ করতে ভুললেন না নাফিস। ‘টেস্টে জিততে ফিল্ডিংটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্যও তাই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমরা একটি অবস্থান করে নিয়েছি যেটা টেস্টে এখনও করতে পারিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ১৭ আগস্ট, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস