ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিরাপত্তা দলের উপর পূর্ণ আস্থা অ্যান্ডারসনের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৬
নিরাপত্তা দলের উপর পূর্ণ আস্থা অ্যান্ডারসনের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ড আসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। তবে কোনো সিরিজের আগে নিয়মমাফিক রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে বাংলাদেশে এসেছে ইসিবির নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল।

আর এই দলের উপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।

ইসিবির নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের ভাগ্য! তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ইংলিশ ক্রিকেট দলের ঢাকায় আসার কথা। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য আসা দলে রয়েছেন ইসিবি’র ক্রিকেট অপারেশনের ডিরেক্টর জন কার, ইসিবি’র নিরাপত্তা উপদেষ্টা রেগ ডিকাসন এবং পিসিএ প্রধান নির্বাহী ডেভিড লেথারডেল।

গতকাল (বুধবার) ভারত থেকে সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি।

ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে এই দলটি তাদের রিপোর্ট প্রদান করবে। তাদের রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে ইংলিশদের বাংলাদেশ সফর। এ বিষয়ে অ্যান্ডারসন জানান, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে অবশ্যই আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। আর আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে আমরা কোথায় সফরে যাচ্ছি। ক্রিকেটার হিসেবে আপনি যেখানে সফরে যাবেন তার কয়েক মাস আগে যদি সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে আপনি সেখানকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন এবং এ নিয়ে সতীর্থদের মধ্যে আলোচনা চলবে। বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েক মাসের ঘটনায় অন্য ক্রিকেটারদের মতোই আমিও তাকিয়ে থাকবো আমাদের নিরাপত্তা দলটির দেওয়া রিপোর্টের উপর। তাদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ’

ইংলিশ এই পেসার আরও জানান, ‘ডিকাসন একজন দক্ষ ব্যক্তি। সে দশ বছর ধরে আমাদের জন্য কাজ করছে। ডেভিডও বাংলাদেশে রয়েছে। তারা দেশে ফিরে আসলে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো। যদি কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে তারা আমাদের বিষয়টি বলবেন। আমরা তাদের দক্ষতার উপর আস্থা রাখি। এই সিদ্ধান্ত মোটেও খেলোয়াড়দের উপর ছেড়ে দেয়া উচিৎ নয়। আপনাকে বিষয়টি সততার সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে। সফর কতটা নিরাপদ হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে সকলকে জানতে হবে। তাদের পূর্ণ রিপোর্টের দিকে আমরা তাকিয়ে থাকবো। কোনো বিষয়ে তাদের সন্দেহ থাকলে অবশ্যই তারা সেভাবে ব্যবস্থা নেবে। তাদের কাজের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। ’

বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা সংকটের সাথে ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে বোমা হামলার সময়কার অবস্থার তুলনা করতে রাজি নন অ্যান্ডারসন। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সময় ভারত সফরে ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সেই সফরে ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে হামলার পর ভারত থেকে দেশে ফিরে যায় ইংল্যান্ড দল। তবে চেন্নাই ও মোহালিতে দুটি টেস্ট খেলতে আবার ভারতে যায় ইংলিশ দলটি।

ইংলিশদের সর্বোচ্চ টেস্ট ইউকেট শিকারি অ্যান্ডারসন জানান, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা থেকে ২০০৮ সালের ভারতের অবস্থা ভিন্ন ছিল। আমরা ভারত সফরে যাওয়ার পর মুম্বাই হামলা হয়েছে। ঐ সময়টা আমরা সবাই দলবদ্ধ হয়ে ছিলাম। ’

২০০৩ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের মাটিতে নিরাপত্তার শঙ্কায় বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে যায়নি ইংলিশরা। ২০০৩ সালের স্কোয়াডেও ছিলেন অ্যান্ডারসন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ঐ সময় আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা পরিদর্শক দল ছিল না, যেমনটা এখন আছে ডিকাসনের অধিনে। আর ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ে না যাওয়া সম্পূর্ণ আইসিসির সুপারিশ ছিল। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ১৮ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।