ঢাকা: ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতি বছরই ঘুরেফিরে আলোচনায় আসে ‘চাকিং’ বোলিং ইস্যু। তবে অতীতে এ বিষয়টি মাথা ঘামায়নি বিসিবি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষে গঠিত হয় বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ আসরে আম্পায়ারদের চোখে যাদের অ্যাকশন সন্দেহজনক মনে হয়েছে তাদের নিয়ে কাজ শুরু করে কমিটি।
চারটি টু-ডি ক্যামেরায় ধারণ করা হয় সন্দেহজনক বোলারদের বোলিং। ফুটেজ বিশ্লেষনের ফলাফল বলছে দশজনের মধ্যে পাঁচজনের সব ডেলিভারিই অবৈধ। সব ডেলিভারিতেই অ্যাকশন বৈধ তিনজন। অন্য দুই বোলারের মধ্যে একজনের আর্ম বল ও অপরজনের স্লোয়ার বল ছাড়া অন্য বলগুলো শুদ্ধ।
শুধু এ বছরই না বিসিবির এ উদ্যোগ ধারাবাহিকভাবেই চলবে বলে জানালেন রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস। তিনি মনে করছেন এভাবে ২-৩ বছর কাজ করা হলে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে চাকার সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব হবে।
শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটেই নয় বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই চাকিংয়ের বিষফোরা তুলতে হবে বলে মনে মত দেন তিনি, ‘এটা চলতে থাকবে...কমিটি করার উদ্দেশ্য হলো আমরা কোয়ালিটি ক্রিকেট চাই। যদি বাংলাদেশকে যদি কোয়ালিটি ক্রিকেট খেলতে হয় তাহলে অবৈধ বোলার দিয়ে ঘরোয়া লিগ চালালে হবে না। তাতে ক্রিকেটেরই ক্ষতি হবে। আগামীতে অনূর্ধ্ব -১৮, ১৯ থেকেই আমরা কাজ করবো। সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি কোনো বোলারের সমস্য থাকলে আমাদের যেন রিপোর্ট করে। ’
‘টোটাল এলিমিনিট করতে হয়তো আমরা এক-দুই বছরে পারবো না। কিন্তু একটা স্টেজে ২-৩ বছর করলে হয়তো আর অবৈধ অ্যাকশন দেখা যাবে না। এজন্য আমরা চাচ্ছি অ্যাডভান্স কিছু ক্যামেরা, সফটওয়্যার আনতে। নিজস্ব সেটআপ বেশ ব্যায়বহুল। বিকেএসপির একটি সেটআপ আছে। ওরা আড়াই কোটি টাকা খরচ করেছে। বিকেএসপির সাথে যদি একটি চুক্তিতে আসতে পারি। কমপ্লিট ল্যাব করতে ৭-৮ কোটি টাকা প্রয়োজন। তাই আপাতত আমরা বিকেএসপির সহযোগিতা নিতে চাচ্ছি। '-যোগ করেন জালাল ইউনুস।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ২০ আগস্ট, ২০১৬
এসকে/এমএমএস