ঢাকা: চার বছর পর আয়ারল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ২০১২ সালে সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সফর করেছিল জাহানারা-সালামারা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচ আগামী ০৫ ও ০৬ সেপ্টেম্বর। একদিন বিরতির পর ০৮ সেপ্টেম্বর প্রথম ওয়ানডে। ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়ে শেষ হবে সিরিজ।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ প্রথমবার প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় আয়ারল্যান্ডকে। দুই ফরমেটেই আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম দেখাতেই জয় পায় টাইগ্রেসরা। ওয়ানডে মর্যাদা পাবার পর দিন ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বরে বিকেএসপিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচে আয়ারল্যান্ড নারী দলকে হারায় স্বাগতিকরা।
এরপর ২০১২ সালে আয়াল্যান্ড সফরে গিয়ে নিজেদের টি-টেয়েন্টি অভিষেকে জয় ওই আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষেই। ওই সফরে ওয়ানডে জয়েরও রেকর্ড আছে নারী ক্রিকেট দলের। ৠাঙ্কিয়েও আইরিশ মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে টাইগ্রেসরা।
তাইতো আয়ারল্যান্ড সফরে ভালো করার সাহস পাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক জাহানারা আলম। বাংলানিউজের মুখোমুখি হয়ে আসন্ন সিরিজ নিয়ে জাহানারা বলেন, ‘আমরা যাবো জেতার জন্য। ওখানে দুইটা-দুইটা চারটা ম্যাচ পাবো। একটা কিংবা দু্ইটা ম্যাচ জেতা নয়; সবগুলো ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়েই আমরা যাচ্ছি। আশা করি সবার দোয়া থাকবে, আমরা যেন চারটা ম্যাচ জিতেই ফিরতে পারি। ’
নিজে পেস বোলার হলেও স্পিনেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চান জাহানারা। স্পিনে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা ভেবেই স্পিনারদের উপর ভরসা রাখবেন তিনি। সঙ্গে পেস দিয়ে ভালো একটি সূচনা এনে দিতে চান জাহানারা, ‘আয়ারল্যান্ড টিম স্পিনে দুর্বল। ওদের কন্ডিশনেও আমরা স্পিনে ওদের ঘায়েল করতে পারবো। তার পাশাপাশি পেস অ্যাটাক যদি ভালো হয় কিংবা পেস থেকে যদি ভালো কিছু আসে তাহলে দুই ডিপার্টমেন্ট থেকেই আমরা ওদের চেয়ে এগিয়ে থাকবো। চেষ্টা করবো একটা দারুণ শুরুর জন্য। পরের বোলাররা এসে যেন চাপহীন থেকে ভালো বোলিং করতে পারে। ’
স্পিনে ভরসা রাখলেও জাহানারার দাবি বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণ ভালো হয়ে উঠছে, ‘এটা ঠিক আমরা স্পিনের উপর নির্ভরশীল। কারণ আমাদের স্পিন ডিপার্টমেন্ট অনেক ভালো। তবে, পেস আক্রমণেও আমরা খারাপ না। লক্ষ্য করে দেখবেন, বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং, পাকিস্তান ট্যুর, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ সবখানেই স্পিনের পাশাপাশি পেসেও কিন্তু আমরা ভালো করছি। স্পিনটা অবশ্যই এগিয়ে, তার পাশাপাশি পেসও শক্তিশালী হয়েছে। ’
আয়ারল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ক্যাম্প একটু দেরিতেই শুরু হয়েছে। ১০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্প চলবে আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত। সময়টা অল্প হলেও দলের সঙ্গে বিসিবির অভিজ্ঞ কোচ সারোয়ার ইমরান কাজ করায় কঠোর ও ছন্দময় অনুশীলন হচ্ছে বলে জানান জাহানারা, ‘আমরা খুব বেশি দিনের ক্যাম্প করছি না। এই শর্ট ক্যাম্পের মধ্যে খুব বেশি স্পিডের মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে। প্র্যাকটিসে এতো বেশি পরিশ্রম করছি যে আমাদের উন্নতির লেভেলটা অনেক উপরে চলে এসেছে। সারোয়ার ইমরান স্যারকে আমরা দেখেছি, শুনেছি কিন্তু তার অধীনে আমরা কখনোই কাজ করিনি। তার অধীনে কাজ করতে পেরে আমরা অনেক খুশি। আতাহার স্যার (আতাহার আলী খান, নারী দলের প্রধান নির্বাচক) অভিভাবকের মতো পুরো টিমটাকে দেখছেন, সাহস যোগাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আমাদের মধ্যে অন্যরকম একটা স্পিড কাজ করছে। আশা করি সবগুলো ম্যাচ জিতেই দেশে ফিরবো আমরা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৬
এসকে/এমআরপি