ঢাকা: গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর থেকেই ওদের জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু। বিকেএসপি থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে এসে প্রথমবার সালমা খাতুন, জাহানারা আলমদের সান্নিধ্য পান।
এরপর চলতি বছরের মার্চে ডাক এলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে। এবারও হলো না। কথায় আছে ‘দানে দানে তিন দান। ’ এ কথাটাই সত্যি হয়ে ধরা দিল ওদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে।
এবার আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মূল স্কোয়াডে এক সাথে চলে এলেন বিকেএসপির এ দুই কিশোরী। দুটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর নদার্ন আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে টাইগ্রেসরা। তার আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়ে গেল জাতীয় দলের ফটোসেশন। ক্যামেরার লেন্সে অপলক দৃষ্টিতে তাকানো চোখগুলো যেন জ্বল জ্বল করছিল স্বপ্ন পূরণের আনন্দে। এবার অপেক্ষা ওদের বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচে নামার।
এক সঙ্গে জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে বেশ খুশি সুমনা, ‘আমরা বিকেএসপিতে এক সাথে ছিলাম। এক সাথে অনেক প্র্যাকটিস করেছি। ছন্দা আপু আমার সিনিয়র। তিনি খুব ভালো পেস বোলার। বাংলাদেশের হয়ে তিনি অনেকদিন খেলুক সেটাই আশা করি। ’
সুমনার অনুপ্রেরণার নাম সালমা খাতুন। ছোটবেলায় সালমা খাতুনকে দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এই তরুণী। এবার ইনজুরির কারণে দলে নেই সালমা। সালমার অভাব পূরণে দায়িত্ব পড়ছে ১৬ বছর বয়সী সুমনার, ‘আমি মনে করি সালমা আপু দেশের একজন সেরা ক্রিকেটার। সুযোগ পেলে চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। একটু হলেও যদি সালমা আপুর জায়গাটা পূরণ করতে পারি নিজেকে ধন্য মনে করবো। ’
ছন্দার কাছে জাতীয় দলের মূল স্কোয়াডে ডাক পাওয়া রোমাঞ্চকর। নিজেকে গড়ে তুলে এমনভাবে জাতীয় দলে ঢোকার ইচ্ছা ছিল, যেন সহজে বের হয়ে যেতে না হয়। বিশ্বের ভালো পেস বোলারদের একজন হওয়ার লক্ষ্য তার। একাদশে সুযোগ পেলে সেরাটা দিয়েই শুরু করতে চান ১৭ বছর বয়সী ছন্দা, ‘প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে দেশের বাইরে যাচ্ছি। সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি বলে নয়, আসলে আমার চেষ্টা বা ইচ্ছা বিশ্বের ভালো একজন পেস বোলার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করা। ’
আগের দু’বার প্রাথমিক দলে থেকেও জায়গা হয়নি জাতীয় দলে। একবার স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন। সে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল-এ প্রশ্নের জবাবে বাংলানিউজকে ছন্দা বলেন, ‘আমি নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করেছি, যখন জাতীয় দলে ঢুকবো সহজে যেন বের হতে না হয়। জাতীয় দলে ঢোকার ইচ্ছা ছিল অনেক আগে থেকেই। এর আগে সুযোগ না পাওয়ায় কখনো হতাশ হইনি। স্ট্যান্ডবাই ছিলাম। আমি সব সময় মনে করেছি হয়তো আমার কোনো ল্যাকিংস আছে, এজন্য দলে ঢুকতে পারছি না। আবারো আমার সামনে সুযোগ এসেছে। সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট ২০১৬
এসকে/এমআরপি