ঢাকা: বাংলাদেশ সফরে না এলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়বে ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের দলপতি ইয়ন মরগানের-এমনটি জানিয়েছেন দেশটির ক্রিকেট তারকা কেভিন পিটারসেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর টাইগারদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ইংলিশদের।
ইংলিশ ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকের পর গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করে ইসিবি। প্রায় এক মাসের সফর শেষ হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে। বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর খেলতে আসতে সরাসরি নিজের মতামত প্রকাশ করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক জনি বেয়ারস্টো ও টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক।
তবে শঙ্কা প্রকাশ করেন ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। এখনও দোটানার মধ্যে আছেন ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়ন মরগান। যদিও বেইলিস ও সহকারী কোচ পল ফারব্রেস সফর করার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, মরগান প্রসঙ্গে পিটারসেন জানান, তার কোনো ইচ্ছে নেই বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার। কিন্তু, তারপরও তাকে যেতে হবে। এটা ক্রিকেটারদের নিজস্ব ব্যাপার হলেও দলের প্রয়োজনে বোর্ড তাকে যেতে বলবে। নয়তো তার নামের পাশে লাল-কালি পড়ে যাবে। যেহেতু কুক টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশে যাবে, সেহেতু ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মরগানের উপর চাপ তৈরি হবে।
পিটারসেন আরও যোগ করেন, মরগান এখনও নিজের সম্মতির কথা জানায়নি। এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার হওয়ার কথা। কিন্তু, তার না যাওয়ার ব্যাপারটি নেতিবাচক হলে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ঝুঁকির মধ্যেই থাকবে। তখন অনেকেই বলবে ‘আমরা যদি যেতে পারি কেন তুমি যেতে পারবে না? তুমি কেন অন্যদের থেকে নিজেকে এতো গুরুত্বপূর্ণ ভাবছো?’
ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ব্রাত্য পিটারসেন এর আগে আসন্ন এই সফর নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। যেখানে নিরাপত্তার ইস্যুতে স্পর্শকাতর বাংলাদেশ সফরকে দেখা হচ্ছে ক্রিকেট সিরিজের চেয়েও বেশি কিছু, সেখানে পিটারসেন জানিয়েছিলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফরের জন্য বেছে নেওয়ার মতো দারুণ জায়গা নয়। তরুণ ওয়ানডে দলের সদস্যরা হয়তো বেশি সমস্যায় পড়বে না। কিন্তু, দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সমস্যা থাকতে পারে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের পরিবার আছে, তাদের সন্তান আছে। আমি জানি অনেক সাংবাদিকও বাংলাদেশে যেতে চায় না। তাদের জায়গায় আমি হলে কি যেতে রাজি হতাম? না, এমন কোনো সম্ভাবনা ছিল না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এমআরপি