ঢাকা: ইংলিশদের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে শেষ হলো পাকিস্তানের দীর্ঘ সফর। চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-২ এ ড্র, এরপর পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৪-১ এ হার।
দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার পর ওয়ানডেতে একরকম নাস্তানাবুদ হয় পাকিস্তান। কিন্তু, শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বেঁচে যায় ওয়াসিমের উত্তরসূরিরা। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারায় পাকিস্তান।
আর এমনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতাকে ওয়াসিম বলছেন ‘ভালো লক্ষণ’। টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি দেখা ওয়াসিম জানান, ‘এটা খুব ভালো পারফর্মের অংশ। ইংলিশদের প্রতিটি বিভাগে দমিয়ে রাখতে পেরেছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। নিজেদের পরিকল্পনার শতভাগ প্রয়োগ দেখিয়েছে তারা। ওয়ানডের মাঝের চারটি ম্যাচ বাজে করার পরও এভাবে পারফর্ম করা যায়-পাকিস্তান তার প্রমাণ দিয়েছে। ’
ওয়ানডেতে একের পর এক ম্যাচ হারের কারণে পাকিস্তানের ওয়ানডে দলপতি আজহার আলীর নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সিনিয়র ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির পরিবর্তে দেশটির টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে সরফরাজ আহমেদের কাঁধে। এ প্রসঙ্গে বাঁহাতি স্পিডস্টার ওয়াসিম জানান, ‘সরফরাজ তার নেতৃত্বগুন দিয়েই দলপতি হয়েছে আর ম্যাচে তার শতভাগ দেখা গেছে। সে কঠিন পরিস্থিতিতেও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল জানে, কখনোই তাকে উত্তপ্ত হতে দেখিনি। বোলারদের পরিবর্তনে সে খুবই দক্ষ। এদিকে, আজহারকে নিয়ে যেসব বলা হচ্ছে আমি তা মোটেও সমর্থন করিনা। অনেকেই বলছেন তার জায়গায় সরফরাজকে নিয়ে আসতে। আমার মনে হয়, আজহার তার জায়গাতেই ঠিক আছে, যেমনটি সরফরাজ তার জায়গায় সঠিক। ’
ওয়াসিম আরও যোগ করেন, ‘এটা খুব বেশি দ্রুত হয়ে যাচ্ছে নতুন হিসেবে আজহার আর সরফরাজের অধিনায়কত্ব মূল্যায়ন করা। তাদের দু’জনকেই আরও সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পরবর্তী সিরিজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া উচিৎ। এরপরই না হয় তাদের নেতৃত্ব বিচার করা যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এমআরপি