ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ অবদান রাখার জন্য তিলকারত্নে দিলশানকে শুভেচ্ছা জানালো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। শুক্রবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যদিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে অবসরে যান শ্রীলঙ্কান এই ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক বিবৃতিতে প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন জানান, দিলশান বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার, যার রেকর্ডে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সেঞ্চুরি রয়েছে। আর আধুনিক ক্রিকেটে সে অসাধারণ একজন ব্যাটসম্যান।
রিচার্ডসন বলেন, ‘তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই দিলশান অসাধারণ। সে একজন সলিড ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরু করে। তবে ধীরে ধীরে সে পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার মতো ব্যাটসম্যান অতুলনীয়। ’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিনব শট ও বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবে দিলশানকে সবাই মনে রাখবে। তার স্পিন বোলিংও বেশ কার্যকরী ছিল। এছাড়া মাঠে ফিল্ডার হিসেবে সে দুর্দান্ত। আমরা তার দারুণ ক্যারিয়ারের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। সেই সঙ্গে তার ভবিষ্যতের শুভ কামনা করি। ’
২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যান ডানহাতি ব্যাটসম্যান দিলশান। ২০১৫ সালে ওয়ানডে অলরাউন্ডার দলেও ছিলেন তিনি। তিনি আইসিসির বর্ষসেরা দলে ২০০৯, ২০১১, ২০১৩ ও ২০১৫ সালে ছিলেন। আর ২০০৯ সালে টি-২০’র বর্ষসেরা পারফরর্মার হন। ২০০৯ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৭ বলে ৯৬ রান করে এই স্বীকৃতি পান।
২০০২ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে লঙ্কানরা। সেই দলের অংশ ছিলেন দিলশান। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ে শ্রীলঙ্কান দলের সঙ্গী ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০০৭ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলেন তিনি।
দিলশান ৮৭ টেস্টে ১৬ সেঞ্চুরিসহ ৫ হাজার ৪৯২ রান করেছেন। আর ওয়ানডেতে ৩৩০ ম্যাচে ২২ সেঞ্চুরিসহ করেন ১০ হাজার ২৯০ রান । টি-২০তে ৮০ ম্যাচে তার রান ১৮৮৯।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এমএমএস