ঢাকা: বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে আর কোনো ক্রিকেটার যা করে দেখাতে পারেননি, তাই করে দেখিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দেশের হয়ে ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার এখন তিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে নিজের প্রথম ওভারে উইকেট তুলে এমন বিরল রেকর্ডের মালিক হওয়ার পথে ছিলেন সাকিব। ইনিংসের ৪১তম ওভারে এসে রহমত শাহকে বিদায় করে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বেোচ্চ উইকেটের মালিক হন সাকিব। এর আগে টাইগারদের হয়ে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিলেন তিনি। এবার ওয়ানডেতে লাল-সবুজদের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলেন। সঙ্গে বিশ্বের একমাত্র বোলার হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফরমেটে কোনো দেশের হয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
বাংলাদেশের হয়ে আব্দুর রাজ্জাক ওয়ানডেতে এতদিন পর্যন্ত ২০৭টি উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন। ২০৬টি উইকেট নিয়ে সাকিব ছিলেন দ্বিতীয় অবস্থানে। আর ২০৩ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে তালিকায় তিনে ছিলেন টাইগারদের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
টেস্টে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ১৪৭টি। বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে ১০০ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় দুইয়ে রয়েছেন সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিক। তিনে থাকা মাশরাফির উইকেট ৭৮টি।
ক্রিকেটের নতুন ফরমেট টি-টোয়েন্টিতেও সাকিব টাইগার বোলারদের থেকে এগিয়ে। সর্বোচ্চ ৬৫ উইকেট তার ঝুলিতে। ৪৪ উইকেট নিয়ে দুইয়ে রয়েছেন রাজ্জাক। ৩৯ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে আল আমিন হোসেন।
টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সাতটি দেশের হয়ে এমন রেকর্ড রয়েছে। তবে, সাকিব বাদে বাকিরা ওয়ানডে এবং টেস্টেই দেশের জার্সি গায়ে এই দুর্দান্ত রেকর্ডটি ধরে রাখতে পেরেছেন। টেস্ট এবং ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন (টি-টোয়েন্টিতে স্টুয়ার্ট ব্রড), ভারতের অনিল কুম্বলে (টি-টোয়েন্টিতে রবীচন্দ্রন অশ্বিন), পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম (টি-টোয়েন্টিতে শহীদ আফ্রিদি), দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক (টি-টোয়েন্টিতে ডেল স্টেইন), শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (টি-টোয়েন্টিতে লাসিথ মালিঙ্গা), ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালস (টি-টোয়েন্টিতে ডোয়াইন ব্রাভো) এবং জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিক (টি-টোয়েন্টিতে গ্রায়েম ক্রেমার) নিজ নিজ দেশের হয়ে এই অনন্য রেকর্ড ধরে রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এমএমএস/এসকে/এমআরপি