ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘শিক্ষিত ক্রিকেটার দেখতে চাই ভবিষ্যতে’

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
‘শিক্ষিত ক্রিকেটার দেখতে চাই ভবিষ্যতে’ ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একজন সুশিক্ষিত মানুষ মানেই একজন সচেতন মানুষ। একজন সচেতন মানুষ যখন ক্রিকেটের মতো টেকনিক্যাল একটা খেলায় আসে তখন সে তার মেধা ও প্রজ্ঞার সঠিক ব্যবহার করতে পারেন।

দু:খজনক ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত নন।

বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের মতে, একজন খেলোয়াড় শিক্ষিত না হলে স্কিল ও টেকনিক্যাল বিষয়ে প্র্রভাব পড়ে।

 

জালাল ইউনুস নিজে ছিলেন বাঁহাতি পেসার। টানা ১৩ বছর আবাহনীর হয়ে খেলেছেন। তার সময়ের ক্রিকেটের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র জালাল ইউনুস বাংলানিউজকে বলেন, ‘সত্তর-আশির দশকে প্রথম বিভাগে যতো সেরা খেলোয়াড়, তার সবই ছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ১৯৭৭-৭৮ সালের দিকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (লংগার ভার্সন) ঢাকা ইউনিভার্সিটি খেলতো। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল- এ পাঁচ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করি।   আমাদের সঙ্গে ওয়াহিদুল গনি, রফিক আলম, ইশতিয়াক আহমেদ, নেহাল হাসনাইন, জি এস হাসান তামিমরা ছিলেন ইউনিভার্সিটি টিমে। পরের দিকে আতাহার আলী খান এলেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি টিম সবসময় সেরা হতো। ’

শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত রেড বুল ক্যাম্পাস ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডসে রানার্সআপ হওয়ায় বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেয়া হয় ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে ইউল্যাবের ক্রিকেটার, কোচ ও ম্যানেজারের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ‍জালাল ইউনুস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিবির এ পরিচালক বলেন, ‘আগে ইউনিভার্সির ক্রিকেটাররা ঢাকার ক্রিকেটকে ডোমিনেট করতো। যারা ন্যাশনাল টিমে খেলছে, যারা ঢুকবে, ঢকুছে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসতো। কিন্ত আমরা এখন আর ইউনিভার্সিটি কিংবা এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে আসা ক্রিকেটার আর দেখিনা।   জাতীয় লিগ কিংবা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রিপ্রেজেন্ট করার মতো ইউনিভার্সিটি দেখিনা। আগে বুয়েট, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সহ বেশিরভাগ পাবলিক ইউনিভার্সিটি এ ধরনের টুর্নামেন্টগুলো খেলতো। যারা জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতো তারা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আসতো। কিন্তু আজকাল এমনটা দেখা যাচ্ছে না। ’

ইউনিভার্সিটি থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার উদ্যোগ নেয়া হলে বিসিবি থেকে সহায়তা করা হবে বলেও জানান জালাল ইউনুস, ‘গত বছরের প্রথম দিকে ইউল্যাব ইউনিভার্সিটি ভিজিট করেছিলাম। তাদের ফেয়ারপ্লে টুর্নামেন্ট হচ্ছিলো তখন।   তাদের নিজস্ব যে অবকাঠামা দেখেছি তা অসাধারণ। তাদের নিজস্ব মাঠ আছে। মাঠের যত্ন  এবং নিজস্ব যে সেটআপ সেটি দারুণ। তাদের গ্রাউন্ডসম্যান বিসিবিতে অনেক দিন কাজ করেছে সে উইকেট লুক আফটার করে। ইউল্যাব যদি পারে অন্যরা কেন পারবে না। ’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকারি এবং বেসরকারি ইউনিভার্সিটি যদি আগ্রহ দেখায় তাহলে আবার আমরা টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহন করতে ক্রাইটেরিয়া সেট করে দেয়া হবে। আমরা শিক্ষিত ক্রিকেটার দেখতে চাই ভবিষ্যতে। ক্রিকেট খেলতে বুদ্ধি লাগে। পড়াশোনার মাধ্যমে যার বিকাশ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যখন জাতীয় দলে খেলবে তখন তারা স্কিল ও টেকনিক্যাল বিষয় বুঝতে সহজ হবে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এসকে/এমএমএস

**সংবর্ধনা পেল ইউল্যাবের ক্রিকেটাররা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।