ঢাকা: আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে চোখ রাঙানি দিচ্ছিলো হার। আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয়ের ব্যাপারটা হয়তো মেনে নিতে পারছেনা টাইগার শিবির।
ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে যারা কিনা দাপট দেখিয়ে হারিয়ে এসেছে সেই টাইগাররা গতকাল রাতে আফগানদের কাছে হোঁচট খেতেই যাচ্ছিলো!
শেষের নাটকীতায় বাংলাদেশ ৭ রানের জয় পেলেও মাশরাফিদের মনে যেন সতর্কবার্তা ভালোভাবেই ঢুকিয়ে দিয়েছে সফরকারীরা। তাইতো ম্যাচের পরদিন (আজ) আফগানরা যেখানে হোটেলে বিশ্রামে কাটালেন মাশরাফি বিন মর্তুজার দল তখন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যস্ত অনুশীলনে। এর কারণ নিশ্চয়ই আফগানদের দেয়া প্রথম ওয়ানডের ওই চোখ রাঙানি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামী বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর)। অনুশীলনের জন্য হাতে আছে কালকের দিন। জয় পাওয়া দলের সামনে অনুশীলনের জন্য সময় থাকলে ম্যাচের পরদিন সাধারণত বিশ্রামে কাটায়, সুযোগ রাখা হয় ঐচ্ছিক অনুশীলনের। কিন্তু প্রথম ওয়ানডে জয়ী বাংলাদেশ পুরো স্কোয়াড নিয়েই মিরপুরে অনুশীলন করেছে, যেখানে হোটেলবন্দী থেকেছে জিততে জিততে প্রথম ওয়ানডে হেরে যাওয়া সফরকারী আফগানিস্তান দল।
মাশরাফি-মুশফিক-সাকিব-তামিমদের আজ বিকেলের অনুশীলন কিছু একটা ইঙ্গিত তো বহন করেই। হতে পারে সিরিজের শুরুতে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন খেলোয়াড়রা।
গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে কর্তৃত্ব করা আফগানদের বিপক্ষে টাইগাররা ৭ রানে ম্যাচ জিতেছে শেষের নাটকীয়তায়। ক্যাচ মিস, বাজে ফিল্ডিং চোখে লেগেছে সবার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০ মাসের বিরতির প্রভাব দেখা গেছে টাইগারদের মাঠের খেলায়।
তাই পরের ম্যাচে পুরনো ছন্দে ফেরার মানসে অনুশীলন করলো জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ার্মআপ সেরেই রিচার্ড হ্যালসলের অধীনে ফিল্ডিং অনুশীলনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে টাইগার শিবির। হঠাৎ-ই ফিল্ডিংয়ে অনুশীলনের বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। এরপর ইনডোরে কিছুক্ষন ব্যাট-বলের অনুশীলন করেন ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন সব জড়তা কাটিয়ে আগামী বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঠিকই জ্বলে উঠবে টাইগাররা। খেলবে ভয়-ডরহীন ক্রিকেট।
মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমার মনে এটা আমাদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করবে। আর আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলে আসছি গত বছর থেকে সেখানে ফিরে যেতে সাহায্য করবে। ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। দশ মাস আগে আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি সেভাবে খেলতে হবে। সবই ঠিক ছিল তবে সামান্য ভয় হয়তো কাজ করেছিল ক্রিকোটরদের মাঝে। সেটা আমি চাইনা, আমরা চাই ভয় ছাড়া ক্রিকেট। টাইগাররা টাইগারদের মতোই খেলবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এসকে/এমএমএস