ঢাকা: “প্রত্যাশা এখন একটাই, টাইগাররা যেনো সিরিজ জয় করে। ” রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ৩টি ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে দেখা যায়, টিকিটের লাইনটি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে ঠেকেছে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে। সময় গড়াতে তা বেড়েছে আরও।
কেউ ফুটপাতে শুয়ে, কেউবা বসে, আবার কেউ কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। নাওয়া-খাওয়া ছাড়া দীর্ঘ লাইন, কোনো কিছুই যেন দমাতে পারছিল না এই আগ্রহ। অপেক্ষা কখন সকাল হবে, আর হাতে আসবে কাঙ্ক্ষিত টিকিট। এই ক্রিকেটপ্রেমীদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
এই টিকিটের লাইনে রাজধানীর ক্রিকেটপ্রেমী ছাড়াও দেখা গেছে গাজীপুর, টঙ্গী, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী থেকে আসা সমর্থকদের।
এদের একজন সায়েম আহমেদ। সায়েম এসেছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কুলিয়ার চর থেকে। সঙ্গে রয়েছেন তার বন্ধু কামাল হোসেন। সায়েম ভৈরবের কুলিয়ার চর ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
তিনি বলছিলেন, “প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে তাতে কী, বাকি দু’টিতে জয় ছিনিয়ে নেবে টাইগাররা। ”
তিনি টিম সিলেকশনের বিষয়ে বলেন, “মোসাদ্দেক নয়, টিমে প্রয়োজন নাসিরকে, নাসির খেলা ধরে রাখতে পারে। টাইগারদের বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন আনলে এবং ফিল্ডিংয়ে আরও মনোযোগী হলে বাংলাদেশ জিতে যাবে। ”
সায়েম আরও বলেন, “টাইগারদের খেলা দেখবো, টিকিট চাই। আজ টিকেট না পেলে খুব মন খারাপ লাগবে। সকাল ৭টার দিকে ভৈরব থেকে বাসে রওয়ানা হয়েছি, শুধু বাংলাদেশের খেলা দেখবো বলে। ”
তবে টিকিট লাইনে অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই বাংলানিউজকে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাদের কয়েকজন বলেন, “আমরা সারারাত কষ্ট করে অপেক্ষা করি, অথচ সকালে প্রভাবশালী স্থানীয়রা এসে আমাদের আগেই টিকিট নিয়ে যান, আমরা পাই না। ”
গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকেই টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে হাসানুল কবির। তিনি বললেন, “সকালে কিছু টিকিট বিক্রির পরে কাউন্টার থেকে বলা হয় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এসব পুলিশের সামনেই ঘটে, অথচ পুলিশ কিছুই বলে না। “
টিকিটের লাইনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ক্রিকেটপ্রেমীরা রাত ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যেকোনো অনিয়ম রোধ এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকালে লাইনের দু’পাশে পুলিশের স্কট থাকছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
এসজেএ/এটি/এইচএ/