চট্টগ্রাম থেকে: এ রিপোর্ট লেখা অবধি স্বাগতিক বাংলাদেশের সংগ্রহ দু্ই উইকেট হারিয়ে ৮১ রান। চট্টগ্রাম টেস্টে জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৮৬ রান।
জয়ের লক্ষ্যে টাইগারদের হয়ে ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ সতর্ক থেকেই ব্যাট করছিলেন। তবে, ইনিংসের দশম ওভারে মঈন আলীর বলে শর্ট লেগে ব্যালান্সের হাতে ধরা পড়েন তামিম। আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৩ বল মোকাবেলা করে ৯ রান করেন। ভালো খেলতে থাকা ইমরুল ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে বিদায় নেন।
নিজেদের হোম কন্ডিশন আর আট ব্যাটসম্যানকে নিয়ে জয়ের আশা করতেই পারে টাইগাররা। তবে, সেজন্য দিতে হবে নিজেদের সেরাটা। উইকেটের বদলানো আচরণে যদিও এখানে ২৫০ রান করাও কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেক ক্রিকেট বোদ্ধা।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা ২৯৩ রান তুলে অলআউট হয়। জবাবে, ব্যাটিংয়ে নেমে লিডের আশা জাগিয়েও শেষ দিকের ছন্দপতনে বাংলাদেশ তোলে ২৪৮ রান। ৪৫ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ইংলিশরা। ২৪০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
সফরকারীদের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন মঈন আলী। এছাড়া, জনি বেয়ারস্টোর করেন ৫২ রান। ৪০ রান আসে জো রুটের ব্যাট থেকে। ক্রিস ওকস করেন ৩৬ রান। আর অ্যালিস্টার কুক ৪, বেন ডাকেট ১৪, গ্যারি ব্যালান্স ১, বেন স্টোকস ১৮, আদিল রশিদ ২৬, স্টুয়ার্ট ব্রড ১৩ রান করেন।
টেস্ট অভিষেকের প্রথম ইনিংসে টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ তুলে নেন সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট। এছাড়া, সাকিব ও তাইজুল নেন দুটি করে উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৮ রান। আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস করেন ২১ রান। তিন নম্বরে নামা মুমিনুল হক শূন্য রানে বিদায় নিলে চার নম্বরে নামা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ৩৮ রান। টাইগার দলপতি মুশফিকুর খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা শফিউল ২ রান করে বিদায় নেন। এছাড়া, তিন অভিষিক্ত সাব্বির রহমান ১৯, মেহেদি হাসান মিরাজ ১ আর কামরুল ইসলাম রাব্বি শূন্য রানে ফেরেন।
ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট দখল করেন বেন স্টোকস। মঈন আলী নেন তিনটি উইকেট। আর আদিল রশিদ নেন দুটি উইকেট। বাকি উইকেটটি যায় গ্যারেথ ব্যাটির দখলে।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। সাকিব ঘূর্ণিতে দিশেহারা ইংলিশরা দলীয় ৬২ রানে টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায়। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন বেন স্টোকস আর জনি বেয়ারস্টো। স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৮৫ রান আর বেয়ারস্টো করেন ৪৭ রান। এই জুটি থেকে আসে ১২৭ রান।
এছাড়া, দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশ দলপতি অ্যালিস্টার কুক ১২, বেন ডাকেট ১৫, জো রুট ১, গ্যারি ব্যালান্স ৯, মঈন আলী ১৪, আদিল রশিদ ৯ রান করেন। তৃতীয় দিন শেষে ইংলিশরা ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ২২৮ রান। প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানের লিড মিলিয়ে ইংলিশরা এগিয়ে ছিল ২৭৩ রানে। চতুর্থ দিন ব্যাট হাতে নামেন আগের দিনে অপরাজিত থাকা ক্রিস ওকস এবং স্টুয়ার্ট ব্রড। দিনের দ্বিতীয় ওভারে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ১০ রান করা স্টুয়ার্ট ব্রড। তাইজুলের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন গ্যারেথ ব্যাটি।
৮০.২ ওভারে ২৪০ রানে শেষ হয় ইংলিশদের ইনিংস। টাইগার সেরা স্পিনার সাকিব একাই নেন ৫টি উইকেট। দুটি উইকেট নেন তাইজুল। আর রাব্বি এবং মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর ২০১৬
এমআরপি