ঢাকা: টেস্ট অভিষেকেই দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য! নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে দলের অলআউট হওয়ার করুণ দৃশ্য দেখতে হলো সাব্বির রহমানকে।
চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে (২৪ অক্টোবর) জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৩ রান। হাতে ছিল দুই উইকেট। ১০ রান যোগ হতেই এক ওভারের মধ্যেই তাইজুল ইসলাম (১৬) ও শফিউল ইসলামকে (০) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে গোটা গ্যালারি স্তব্ধ করে দেন বেন স্টোকস।
৬৪ রানে (১০২ বল) অপরাজিত থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাব্বির। দুর্দান্ত এই ইনিংসেই রেকর্ড-বুকে জায়গা করে নেন ২৪ বছর বয়সী এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
টেস্ট অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে সাত নম্বর বা এর পরের পজিশনে নেমে সর্বোচ্চ রানস্কোরার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন সাব্বির। প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান স্যামি কার্টারকে (৬১ রান, ১৯০৭ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) পেছনে ফেলে চার নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছেন।
এ তালিকায় সবার উপরে পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১৯৯৬ সালে লাহোর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই রয়েছেন যথাক্রমে কিউই পেসার টিম সাউদি ও শ্রীলঙ্কার কুশল পেরেরা।
২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেপিয়ার টেস্টে ৪০ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ১০ নম্বরে নামা সাউদি। আর গত বছর কলম্বোয় ভারতের বিপক্ষে পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭০।
জীবনের প্রথম টেস্টেই অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হয় সাব্বিরকে। টেলএন্ডারদের নিয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন এই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। বাংলাদেশের ৮১তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ক্যাপ পরেন তিনি। যার অভিষেকটা হয়েছে টেস্টে ব্যাটিংয়ের সামর্থ্যের প্রশ্ন শুনে। আগের ৮০ জনের কেউই অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকাতে পারেননি। সাব্বিরই প্রথম এটি করে দেখালেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
এমআরএম