মিরপুর থেকে: নাম নাঈম ইসলাম হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে তিনি ছক্কা নাঈম হিসেবেই বেশি পরিচিত। টাইগারদের হয়ে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই অলরাউন্ডারকে টেস্টে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ওয়ানডেতে ২০১৪ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আর টি-টোয়েন্টিতে ২০১৩ সালে নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে।
সেই ছক্কা নাঈম এবারের বিপিএলে অধিনায়কত্ব করছেন রংপুর রাইডার্সের। আর অধিনায়ক হিসেবে নিজ দলের ওপর যথেষ্টই আস্থা রাখছেন নাঈম। আশা করছেন যেদিন তার দল ব্যাট হাতে জ্বলে উঠবে সেদিন সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপ।
আর বল হাতে যেদিন জ্বলে উঠবে সেদিন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং ইনিংস। ‘আমাদের দলটি দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। যদি ভাল ব্যাটিং করি তাহলে ২০০ রান করবো। আর ভাল বোলিং করলে ১০০ রানে অলআউট করে দেব। ’
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে তিনি নিজ দল নিয়ে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অবশ্য নাঈমের এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করার পেছনে সংগত কারণও আছে।
অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেতো বটেই, দলটিতে আরও আছেন টাইগার মারকুটে ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার, বিশ্ব টি-টিয়োন্টি ক্রিকেটের অন্যতম বড় পোস্টার শহীদ আফ্রিদি, একই দেশের মারকুটে ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ ও আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদের মতো খেলোয়াড়েরা। তাই হয়তো এমন ঝাঁঝালো কণ্ঠে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন না নাঈম।
এদিকে রংপুরের হয়ে বল হাতে প্রতিপক্ষের স্ট্যাম্প এলোমেলো করে দিতে অন্যান্য বোলারদের পাশাপাশি দায়িত্ব পেয়েছেন দুই টাইগার স্পিনার সোহাগ গাজী ও আরাফাত সানি। একথা ঠিক যে এই দু’জনই জাতীয় দলে ঢুকতে রীতিমতো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তাই নাঈমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রংপুরের হয়ে তাদের পারফরম্যান্স কতটুকু উজ্জ্বল হতে পারে বলে মনে করছেন?
উত্তরে নাইম বললেন, ‘দুইজনই ভাল বোলিং করছে। আমরা অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি ওখানে সোহাগ ও সানি ভাল বোলিং করেছে। ’
সোহাগ, সানিতো বটেই দলের অন্যান্য প্লেয়ারদের দারুণ সমন্বয়ে রংপুর যদি বিপেএলের শুরুটা ভাল করতে পারে তাহলে পুরো টুর্নামেন্টে ভাল করা সম্ভব বলে মনে করেন নাঈম।
বিপিএলের পরিবর্তীত সূচিতে ৯ নভেম্বর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হবে নাঈম ইসলামের রংপুর রাইডার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ৮ নভেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমএমএস