মিরপুর থেকে: বিপিএলের চতুর্থ আসরের প্রথম ম্যাচটি ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংসের মধ্যকার। দুর্ভাগ্য মাশরাফির! কেননা নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ২৯ রানে হেরে গেছেন তামিম ইকবালদের কাছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, ‘শুরু থেকে যদি দেখেন আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। ১৬১ রান এই উইকেটে জেতার মতা ছিল। ’
আর দলের হারের কারণ হিসেবে মাশরাফি দায়ী করলেন দলের ধীরগতির ফিল্ডিং ও ষষ্ঠ ওভারে ইমাদ ওয়াসিমের বলে তামিম ইকবালের ক্যাচ হাতছাড়া করাকে। চিটাগংয়ের ব্যাটিং ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ডিপ কাভার অঞ্চল থেকে তামিমের ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন ফিল্ডার নাহিদুল ইসলাম।
তামিমের ব্যক্তিগত সংগ্রহ তখন ২৩। আর নাহিদুলের ওই ক্যাচ ড্রপের সুযোগেই ৩৮ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংষী এক ইনিংসে দলকে ১৬১ রানের পথ সুগম করেন চট্টগ্রাম ওপেনার তামিম ইকবাল।
এ বিষয়ে মাশরাফির ভাষ্য, ‘আমরা ক্যাচ ড্রপ না করলে এবং ফিল্ডিং ধীরগতির না হলে এই রান নাও হতে পারতো। তামিমের ক্যাচটা যদি ড্রপ না হতো তাহলে আরও ১০-১২টা রান কম হতে পারতো। ’
শুধু ফিল্ডারদেরই নন, দলের ব্যাটসম্যানদের ভুল শট সিলেকসনকেও হারের কারণ হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মাশরাফি, ‘যাকে শটস খেলা দরকার তাকে না খেলে যাকে খেলা কঠিন তাকে আমরা খেলছি। এটা চাপ থেকে হতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে আপনাকে শটস খেলতে হবে কিন্তু সেজন্য ঠিক বোলারকে বেছে নিতে হবে। ’
মাশরাফি প্রথম ম্যাচ হেরে গেছেন একথা ঠিক। তবে পরের ম্যাচেই চাইছেন ঘুরে দাঁড়াতে। ১১ নভেম্বর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বরিশাল বুলসকে মোকোবেলা করবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ৮ নভেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম