ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সতীর্থদের বাজে পারফরম্যান্সকেই দায়ী করলেন শান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
সতীর্থদের বাজে পারফরম্যান্সকেই দায়ী করলেন শান্ত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-ফাইল ফটো

লিটন ভাই, ইমরুল ভাই যদি ভাল পারফর্ম করতে পারতো তাহলে দলের জন্য ভালো হতো। শুধু ওনাদের কথা বলবো না। আমরাও কিন্তু খারাপ খেলেছি। সবাই যদি সাপোর্ট করতাম মানে ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো স্কোর করে দিতে পারতাম তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু হতো।

মিরপুর থেকে: ক্রিকেটে একটি দলের জয়ে যদি ব্যাটসম্যানদের ভূমিকার কথা বলা হয়, সেখানে মূল ফোকাসটি কিন্তু থাকে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের উপরে। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই একটি দলকে জয়ের ভীত গড়ে দেয়।

পক্ষান্তরে টপ অর্ডাররা যখন ব্যর্থ হয়, তখন জয়ের কাজটি সত্যিকার অর্থেই কঠিন হয়ে যায়। কেননা, তাদের ব্যর্থতার পরে দলের রানের চাকা যায় শ্লথ হয়ে, যা পরবর্তীতে মিডল বা লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সচল করা অনেকাংশেই কঠিন হয়ে যায়। ফলে স্বল্প সংগ্রহ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এই অবস্থায় বোলারদেরও কিছুই করার থাকে না।
 
ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছে বিপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্ষেত্রে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা দলটিকে এমনভাবে পেয়ে বসেছে যে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে যেমন কোন চ্যালেঞ্জিং স্কোর করতে পারছে না তেমনি প্রতিপক্ষের দেয়া লক্ষ্য টপকাতে গিয়েও প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ব্যর্থ হতে হচ্ছে। যা দিন শেষে হারের গ্লানি ছাড়া মাশরাফিদের আর কিছুই উপহার দিতে পারছে না।
 
দলটির দুই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস কিংবা লিটন দাসের কথাই ধরা যাক। শেষ দুটি ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৩৬ ও রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৩৪ রানের ইনিংসটি বাদ দিলে বাকি ছয় ম্যাচে ইমরুলের থলিতে বলার মতো কোন সংগ্রহ ছিল না। আর লিটন দাসের অবস্থাতো আরও শোচনীয়। ১৩, ৪, ৮, ৪, ৫-এই হলো ম্যাচপ্রতি লিটনের রান।

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত সতীর্থ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত, ‘লিটন ভাই (লিটন দাস), ইমরুল ভাই (ইমরুল কায়েস) যদি ভাল পারফর্ম করতে পারতো তাহলে দলের জন্য ভালো হতো। ইমরুল ভাই যদিও শেষ দুইটা ম্যাচ ভালো খেলেছে। শুধু ওনাদের কথা বলবো না। আমরাও কিন্তু খারাপ খেলেছি। সবাই যদি সাপোর্ট করতাম মানে ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো স্কোর করে দিতে পারতাম তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু হতো। ’

সোমবার (২৮ নভেম্বর) মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে এভাবেই দলের হার নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শান্ত। দলের ধারাবাহিক হার নিয়ে তার ভাষ্য, ‘আসলে ভাগ্যেরও ব্যাপার আছে। আমরা যদি প্রথম দুই তিনটা ম্যাচ জিততে পারতাম তাহলে হয়তো ভালো কিছু হতে পারতো। এছাড়া সীমাবদ্ধতা বলতে কিছুই ছিল না। কোচের দিক থেকে ম্যানেজমেন্টের দিক থেকে কোন চাপ ছিল না। গতবছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার ভাগ্য সাথে নেই বলেই এমন হচ্ছে। আমরা সবাই খারাপ খেলছি। ’

বিপিএলের এবারের আসরে ৮ ম্যাচ শেষে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দলের এই অবস্থায় এখন তাদের জন্য সান্ত্বনার বার্তা বয়ে আনতে পারে বাকি চার ম্যাচে জয়। শান্তু তেমনটিই ভাবছেন, ‘যে কয়টা খেলা আছে টার্গেট খাকবে ভালো কিছু করার। যদি শেষে চারটি ম্যাচ ভালো হয় তাহলে ম্যানেজমেন্টকে কিছু দিতে পারবো, আমাদেরও ভালো লাগবে। ’
 
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নিজেদের নবম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলসের মুখোমুখি হবে মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ২৮ নভেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।