ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘আমরা চাই না তরুণ খেলোয়াড়রা ভুল পথে পা বাড়াক’

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
‘আমরা চাই না তরুণ খেলোয়াড়রা ভুল পথে পা বাড়াক’ সাব্বির রহমান ও আল আমিন হোসেন/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-ফাইল ফটো

বিপিএলে শৃঙ্ক্ষলাবর্হিভূত কর্মকান্ডের জন্য বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে বরিশাল বুলস পেসার আল আমিন হোসেন ও রাজশাহী কিংসের ‘আইকন’ ক্রিকেটার সাব্বির রহমানকে। শাস্তি হিসেবে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তির অর্ধেক টাকা জরিমানা করা হয়েছে আল আমিনকে।

মিরপুর থেকে: বিপিএলে শৃঙ্ক্ষলাবর্হিভূত কর্মকান্ডের জন্য বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে বরিশাল বুলস পেসার আল আমিন হোসেন ও রাজশাহী কিংসের ‘আইকন’ ক্রিকেটার সাব্বির রহমানকে। শাস্তি হিসেবে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তির অর্ধেক টাকা জরিমানা করা হয়েছে আল আমিনকে।

প্লেয়ার্স ড্রাফটে তার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা।

সাব্বিরকে জরিমানা করা হয়েছে চুক্তির ৩০ শতাংশ। সাব্বিরের দাম ছিল ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এত বড় আর্থিক শাস্তির ঘটনা অতীতে ঘটেনি।  

জাতীয় দলের এ দুই ক্রিকেটারের শাস্তির কারণ উল্ল্যেখ করলেও তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি বিসিবি। তবে চাউর হয়েছে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে হোটেল কক্ষে নারী অতিথি নিয়ে যাওয়ার অপরাধে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের।

এই শাস্তি দেখে ভবিষ্যতের ক্রিকেটাররা ভুল পথে পা বাড়াবে না বলে মনে করছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসলাম হায়দার মল্লিক।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির এ পরিচালক বলেন, ‘আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি, আমরা শাস্তি দিতে পেরেছি কিনা এটাই বড় বিষয়। এটার মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দিতে চেয়েছি। এই টুর্নামেন্টে কিন্তু অনেক বিদেশি খেলোয়াড় খেলছে। আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড় খেলছে। অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে যারা সামনে জাতীয় দলে খেলবে। যে দু’জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়া হয়েছে তারাও জাতীয় দলের। তাদেরকে দেখে কিন্তু তরুণ খেলোয়াড়রা অনেক কিছু শিখবে। ’

‘যেহেতু বিপিএল আমাদের ট্যালেন্ট তুলে আনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তাই এখানকার কোনো বাজে ঘটনা দেখে আমরা চাই না তরুণ খেলোয়াড়রা ভুল পথে পা বাড়াক। এই জন্যই শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া। ’-যোগ করেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
 
সন্দেহ দূর করতে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের মনে একটা সন্দেহ আসতে পারে এটা কি ডিসিপ্লিনারি ইস্যু নাকি ফিক্সিং ইস্যু। আমি পরিস্কার করি এটা ফিক্সিং সংক্রান্ত কোনো ঘটনা না। এটা পুরোপুরি একটা শৃঙ্ক্ষলাজনিত ঘটনা ছিলো। প্রত্যেকটা হোটেলে আমাদের দুই-তিনটা টিম কাজ করে। আমাদের অ্যান্টি করাপশন ইউনিট আছে। অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের অধীনে ইনটেলিজেন্স ইউনিট আছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে দেখেছি এবং দুই প্লেয়ারের শুনানি হয়েছে। শুনানির পর চরম শৃঙ্ক্ষলাবর্হিভূত কর্মকান্ডের কারণে এই অ্যাকশনটা নেয়া হয়েছে আসলে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এসকে/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।