১৮ রান দূরে থাকতে ২৯ বছর বয়সী সাকিব টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক থেকে বঞ্চিত হন। ওয়ানডেতেও তার দখলে আছে ৬টি সেঞ্চুরি।
ভারত সফরে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ দল যখন মাঠে খেলছিল, সাকিব তখন ব্যাট হাতে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে নামেননি। কোচিং স্টাফদের সঙ্গে নিয়ে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছিলেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষেই ২০০৭ সালের মে’তে টেস্টে অভিষেক ঘটে সাকিবের। চট্টগ্রামের সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন ২৭ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে নামা হয়নি তার। একই সিরিজে ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৫ রান।
সাকিব সাদা পোশাকে নিজের প্রথম শতকের দেখা পেয়েছিলেন ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ১০০ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। এর আগেই তার ব্যাট থেকে দুইবার ৯৬ রানের ইনিংস এসেছিল। তার একটিতে অপরাজিত ছিলেন। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের পরের ম্যাচে আলো না ছড়ালেও পরের ম্যাচে ছিল আরেকটি ৯৬ রানের ইনিংস।
২০১১ সালে ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৪৪ রান। তৃতীয় শতকটি আসে ২০১৪ সালে। খুলনা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেন ১৩৭ রান। আর সবশেষ এ বছরের শুরুতে ওয়েলিংটনের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রান।
৪৭ ম্যাচ থেকে সাকিবের টেস্ট রান ৩ হাজার ২৯৫। ব্যাটিং গড় ৪১.১৮।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি