ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

দলীয় ২০০ হলেও ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
দলীয় ২০০ হলেও ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের লিটন দাশ-ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার ৪৯৪ রানের  জবাবে তৃতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে দলটি। সর্বশেষ লিটন দাশ উইকেট থেকে বিদায় নেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৭ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১৯ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৮ রানে অপরাজিত আছেন।

দ্বিতীয় দিন তামিম ইকবালের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়া সৌম্য তৃতীয় দিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সুরাঙ্গা লাকমালের বলে ব্যক্তিগত ৭১ রানে বিদায় নেন তিনি। ১৩৭ বল খেলা বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান আটটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছিলেন।  

সৌম্য‘র বিদায়ের পর উইকেটে এসে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন সাকিব আল হাসান। কিছুটা টি-টোয়েন্টি মেজাজেই খেলেন তিনি। কিন্তু লক্ষন সানদাকানের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষ নিরোশান দিকওয়ালার ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ১৯ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৩ করেন তিনি।

দিলরুয়ান কুমারার বলে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শটপিচ বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ২৬ বলে একটি চারে ৮ রান করেন তিনি। মাঠে এসে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাশ কোনো অবদান রাখতে পারেননি। লঙ্কান অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের প্রথম শিকার হন তিনি। ব্যক্তিগত ৫ রানে গুনারত্নেকে ক্যাচ দেন তিনি।  

এর আগে দ্বিতীয় দিন শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আর ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে আগের রেকর্ডটিতেও ছিলেন তামিম। ২০১৩ সালের কলম্বো টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে জহুরুল ইসলামকে নিয়ে ৯১ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন দেশসেরা ওপেনার। এদিন তামিম ও সৌম্য মিলে ১১৮ রানের জুটি গড়েন।

তবে দারুণ খেলতে থাকা তামিম এক শিশুতোশ রান আউটে ক্রিজ ছাড়েন। লক্ষন সানদাকানের বলে খোঁচা দেন। কিন্তু বল উইকেটরক্ষক নিরোশান দিকওয়ালার কাছে চলে গেলে আম্পায়ারের কাছে আবেদন করে লঙ্কানরা। তবে কি বুঝে রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন তামিম। আর তাতেই দিকওয়ালা স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। তামিম হয়তো ভেবেছিলেন বল ধরতে পারেননি উইকেটরক্ষক। তিনি ১১২ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৫৭ রান করেছিলেন।

তামিমের পর উইকেটে থিতু হতে পারেননি মুমিনুল হক। এসে মাত্র ৭ রান করে দিলরুয়ান পেরেরার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। কিন্তু দিনের বাকি সময়টা আর কোনো ভুল হতে দেননি সৌম্য ও মুশফিকুর রহিম। অসাধারণ খেলা সৌম্য ১৩৩ বলে সাতটি চার ও এক ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ১ রানে মাঠ ছেড়েছেন অধিনায়ক মুশফিক।

এর আগে কুশাল মেন্ডিসের ১৯৪ রানের সুবাদে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৯৪ করে শ্রীলঙ্কা। হাফসেঞ্চুরি করেন আসেলা গুনারত্নে, দিকওয়ালা ও পেরেরা। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। দুটি উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান। আর একটি করে উইকেট দখল করেন তাসকিন আহমেদ, শাভাষিশ রয় ও সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ০৯ মার্চ, ২০১৭
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।