দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ১৯২ থেকে হয়ে যায় ৫ উইকেটে ২১৪ (৬০ ওভার)। উইকেটে থিতু হয়েও ৫৭তম ওভারে লক্ষণ সান্দাকানের করা চতুর্থ বলে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস (৩৪)।
পেসার সুরাঙ্গা লাকবলের করা পরের ওভারের চতুর্থ বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার কাছে ক্যাচ দিয়ে সবাইকে হতাশ করেন সাব্বির রহমান (৪২)। সাত বলের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে তখন হতবাক হওয়ার মতোই অবস্থা!
তার ওপর দলের এমন পরিস্থিতির মুখে টি-২০ মেজাজে ব্যাট চালান সাকিব আল হাসান। ৮ বলে ১৮ রান করার পথে ভাগ্যগুনে দু’বার আউট হতে হতে বেঁচে গেছেন! ৭ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মুশফিক।
ওপেনিং জুটিতে ৯৫ রান তুলে কী ভালো শুরুটাই না এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ১ রানের জন্য অর্ধশতক বঞ্চিত হন তামিম। টানা তিন ইনিংসে ফিফটি হাঁকিয়ে ফেরেন সৌম্য (৬১)। সৌম্য-ইমরুল মিলে ৩৫ ও ইমরুল-সাব্বিরের পার্টনারশিপে আসে ৬২।
তিনটি উইকেট নেন সান্দাকান। একটি করে রঙ্গনা হেরাথ ও লাকমল।
এর আগে দিনেশ চান্দিমালের ১৩৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিকরা। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। শেষ তিন উইকেটে আসে ১৪৩। ধনাঞ্জয়া সিলভা ও নিরোশান ডিকওয়েলা দু’জনই ৩৪ রান করেন। শেষদিকে লঙ্কান দলপতি হেরাথ ২৫ ও লাকমল ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ তিনটি ও দু’টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, শুভাশিস রায়, সাকিব আল হাসান। বাকি উইকেটটি তাইজুল ইসলামের।
ঐতিহাসিক টেস্ট দিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে সমতায় ফিরতে চোখ রাখছে টিম বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় গল টেস্টে (৭-১১ মার্চ) ২৫৯ রানে হার মানতে হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ১৭ মার্চ, ২০১৭
এমআরএম