শ্রীলঙ্কা সফরে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শেষেই শীর্ষে ওঠেন মাশরাফি। এ ম্যাচের আগে দু’জনই ২২১ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন।
লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৭০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায়, আর প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ৯০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ায় সিরিজে ১-১ সমতায় শেষ করেন তামিম-মুশফিক-সাকিব-মাশরাফিরা।
তৃতীয় ম্যাচে আসেলা গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা ও দিলরুয়ান পেরেরাকে আউট করেন মাশরাফি। এর আগে পরিত্যক্ত হওয়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একটি উইকেট পেয়ে সাকিবের সমান ২২১টি উইকেট দখল করেছিলেন দলনেতা। সেই ম্যাচেও সাকিব উইকেটশূন্য ছিলেন।
এ দুই তারকার শীর্ষে ওঠে পাশাপাশি থাকার লড়াইয়ে যেমন যুদ্ধ চলে, তেমনি কাকতালিয়ভাবে তাদের ম্যাচের সংখ্যাও কাছাকাছি। মাশরাফি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৭০ ম্যাচ, যেখানে মাত্র এক ম্যাচ কম খেলেছেন সাকিব। দু’জনের বোলিং ইকোনোমিও প্রায় সমান। সাকিব ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৪.৩৭ আর মাশরাফি দিয়েছেন ৪.৭১।
ইনজুরির কারণে মাশরাফি অবশ্য অনেক পিছিয়ে গেছেন। কারণ সেই ২০০১ সালে অভিষেক হওয়ার পর বার বার ইনজুরি বাধা তাকে মাঠ থেকে ছিটকে দিয়েছে। না হলে এতদিনে ২৫০টির বেশি ম্যাচ খেলতে পারতেন তিনি। যেখানে উইকেটের সংখ্যাও ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল, ২০১৭
এমএমএস