সাদা পোশাকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট খেলেছেন মিসবাহ। তাও সেটি ২০০৭ সালের কথা।
এটি নিয়ে আক্ষেপই ঝরেছে মিসবাহর কণ্ঠে, ‘একজন কী বলতে পারেন? এটা আমাদের হাতে নেই কিন্তু আমার অনুতাপ যে, আমি ভারতের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারিনি। বিশেষ করে দল যখন খুবই ভালো করছিল। ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপ জিততে না পারাটাও আমার ক্যারিয়ারের অপূর্ণতা। ’
২০০৭ সালের পর ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হওয়ার জন্য রাজনীতিকেই দায়ী করছেন মিসবাহ। ২০১০ সালের শেষদিকে টেস্ট দলের অধিনায়ত্ব পাওয়ার পর টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে গেল! মিসবাহর অভিমত, ‘গত সাত বছরে এটা হয়নি। যদিও আমি ভারতের মাটিতে খেলেছি এবং আমি জানি সেখানকার মানুষ নিয়মিত দু’দলের খেলা দেখতে চায়। ’
অবসর নিয়ে মিসবাহর ভাষ্য, ‘ক্যারিয়ারে অনেক কিছু পেয়েছি। এ কারণেই ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি এবং ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটাই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সঠিক সময়। ’
পাকিস্তানের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৭২টি টেস্ট খেলেছেন মিসবাহ। ৪৫.৮৪ গড়ে রান ৪৯৫১। ৩৬টি অর্ধশতকের পাশাপাশি রয়েছে ১০টি সেঞ্চুরি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ১৬২ ওয়ানডেতে ৪৩.৪০ গড়ে ৫১২২ ও ৩৯টি টি-টোয়েন্টিতে ৩৭.৫২ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৭৮৮ রান। রঙিন পোশাকে কোনো সেঞ্চুরি নেই। দুই ফরমেট মিলিয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন ৪৫ বার (ওডিআইতে ৪২)।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম