বোঝাই যাচ্ছে ঘরোয়া লিগের সাথে জাতীয় দলের পারিশ্রমিকের তফাত কত বিস্তর। তাই জাতীয় দলেও এমন পারিশ্রমিক আশা করছেন মুশফিক।
রোববার (৯ এপ্রিল) মিরপুর সিসিডিএম কার্যালয়ে মুশফিক এমন মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ যেমন প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএল দিয়ে প্লেয়াররা আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হয়। জাতীয় দলে আমরা বছরের ৯ থেকে ১০ মাসই ব্যস্ত থাকি। তাই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য শুধু জাতীয় দলই নয়, প্রতিটি প্লেয়ারই মুখিয়ে থাকেন। ঘরোয়া লিগের মতো জাতীয় দলেও যদি এমন পেমেন্ট পেতাম তাহলে অবশ্যই ভালো হত। ’
একজন প্লেয়ার জাতীয় দলের চুক্তিতে তো আর চাইলেই থাকতে পারেন না। থাকা না থাকা নির্ভর করে তাদের ফর্মের উপরে। ফর্ম খারাপ হলে যে কোনো সময়ই দল থেকে বাদ পড়তে বাধ্য। তাই যে ক’দিনই তারা খেলুক না কেন পারিশ্রমিকটা ঘরোয়া লিগের মতো না হয়ে কাছাকাছি হলেও প্লেয়ারদের জন্য ভালো হতো বলেও মত দিলেন মুশফিক।
মুশফিক যোগ করেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে ১০-১২ বছর খেলার পর এখনও মনে হয় অনেক কিছুই নাই, অনেক কিছুই করার বাকি আছে এখনও। আমরা বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছি। আশা করছি কর্তৃপক্ষ কিছু করবে। ’
তবে শুধু অর্থ নয়, জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটাও মুশফিকের কাছে বিশেষ কিছু, ‘জাতীয় দলে খেলাটাও কম না। জাতীয় দলের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের। ’
গত মৌসুমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলা মুশফিক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে দল বদলে এসেছেন লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জে, প্রথমবার খেলবেন মাশরাফির সঙ্গে একই দলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ৯ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি