যা হোক গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন স্পিনার হান্ট কার্যক্রম শুরু হলো ওই মাসের ১৯ তারিখে নাঈমের ক্লাবের এক বড় ভাই বললেন, ‘কাল (২০ ফেব্রুয়ারি) স্পিন বোলারদের একটি পরীক্ষা আছে। তুই দিলে ভালো হত।
অনুশীলন করবেন কিন্তু বল ছিল না। তাই সাইকেল চালিয়ে ওই রাতেই পাশের গ্রামে ছুটে গেলেন সতীর্থের কাছ থেকে বল আনতে। বল নিয়ে এসে ওই বড় ভাইয়ের উঠানে অনুশীলনে উদ্যত হতেই বাধলো বিপত্তি। বিদ্যুৎ নেই।
তবে দমে গেলেন না। রাতেই বাজার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অনুশীলন করলেন। ফলাফলও পেলেন হাতেনাতে। জেলা পর্যায়ের বাছাইকৃত স্পিনারদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেন বিভাগীয় পর্যায়ে। বিভাগীয় পরীক্ষার সফল সমাপ্তি টেনে এলেন ঢাকায়। আর ঢাকাতে হলেন সেরাদের সেরা।
নাঈম বাংলাদেশি হলেও স্পিন বোলিংয়ে তার আদর্শ এক বিদেশি। ভারতীয় স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বীনকে আইডল মানেন। ডানহাঁতি অফস্পিনার হওয়ায় স্বদেশী বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানকে তিনি আদর্শ হিসেবে নিতে পারেননি। কারণ সাকিব বাঁহাতি। তবে সাকিবকে একেবারেই তার নিগুর মর্ম থেকে বাদ দিতে পারেননি। কেননা তিনি সাকিবের বল গ্রিপিংয়ের দারুণ এক অনুসারী, ‘আমি একজনকে আইডল মানি উনি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সাকিব আল হাসানকেও ফলো করি তবে উনি লেফটি। আমি ওনার গ্রিপিংটা ফলো করবো। ’
অটুট লক্ষ্য, অধ্যাবসায় ও বিশ্বাস থাকলে সফলতা পাওয়া যায়ই। এই সত্যের প্রমাণ আরেকবার দিলেন নাঈম। আর এর মধ্যদিয়েই এদেশের ভবিষ্যত ক্রিকেট ট্যালেন্টদের জন্য তিনি হয়ে থাকলেন অনুকরণীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ১০ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি