দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্বাগতিকরা ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৮ রান। কলকাতাকে ১৬৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জহির খানের দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য কলকাতার দরকার হয় ৯ রান। অমিত মিশ্রর প্রথম বলে রান নিতে পারেননি কলকাতার ক্রিস ওকস। দ্বিতীয় বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান মনিষ পান্ডে। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন সুনীল নারাইন। চতুর্থ বলে পান্ডে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের স্বস্তি ফেরান। পঞ্চম বলে ডাবল রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন অপরাজিত থাকা পান্ডে।
আইপিএলের দশম আসরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে টানা পাঁচ ম্যাচেই বসিয়ে রাখে গৌতম গম্ভীরের দল। কেকেআরের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত সৈনিক হয়েও একাদশে সুযোগ মিলছে না সাকিবের!
দিল্লির হয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৩৭ বলে ৫৩ রান। ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ২৫ বলে সাতটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৯ রান। আরেক ওপেনার স্যাম বিলিংস ১৭ বলে ২১ রানে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা করুন নায়ার ২৭ বলে করেন ২১ রান।
রান আউট হওয়ার আগে শ্রেয়াস ইয়ার ১৭ বলে চারটি বাউন্ডারিতে করেন ২৬ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ১ রানে বিদায় নেন। তরুণ তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশব প্যান্ট ১৬ বলে ৩৮ রান করতে ২টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কা হাঁকান। ক্রিস মরিস ৯ বলে ১৬ রান করেন।
কলকাতার হয়ে নাথান কোল্টার নাইল ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান উমেষ যাদব, সুনীল নারাইন ও ক্রিস ওকস।
১৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতার ওপেনার কলিন ডি গ্রান্ডহোম ১ রানে বিদায় নেন। দলপতি গৌতম গম্ভীর ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। ৪ রানে বিদায় নেন রবীন উথাপ্পা। এরপরই দলের হাল ধরেন মনিষ পান্ডে ও ইউসুফ পাঠান। ৩৯ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় ৫৯ রান করে বিদায় নেন পাঠান। মাঝে সূর্যকুমার যাদব ৭ রানে ফেরেন।
আরেক প্রান্ত ধরে রেখে পান্ডে করেন ৬৯ রান। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি ছক্কার মার। ক্রিস ওকস করেন ৩ রান।
দিল্লির হয়ে জহির খান আর প্যাট কামিন্স দুটি করে উইকেট তুলে নেন। একটি করে উইকেট দখল করেন ক্রিস মরিস এবং অমিত মিশ্র।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ১৭ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি