কিছুদিন আগেই টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিলে ইউনিস জানিয়েছিলেন, প্রস্তাব পেলে নেতৃত্বে আগ্রহী তিনি। এর আগেও একাধিকবার জাতীয় দল থেকে অবসরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই সাদা পোশাকে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দেন এই ডানহাতি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ (২১ এপ্রিল শুরু) শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ ও ৩৯ বছর বয়সী ইউনিস।
দুই সিনিয়র ক্রিকেটার একই সঙ্গে বিদায় নিলে পাকিস্তান দলটি বেশ বিপাকেই পড়বে। এমন চিন্তা থেকে ইউনিস খান জানিয়েছেন, ‘এটা ঠিক যে আমরা একসঙ্গে চলে গেলে দল বিপাকে পড়বে। আমি এটা নিয়ে বেশ চিন্তা করেছি। এটা আমার দল আর বোর্ডের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তারা যদি মনে করে আমাকে দলে প্রয়োজন তাহলে আমি ক্যারিয়ার টেনে নিয়ে যাবো। দলের সদস্যরা আর বোর্ডের মতো যদি আমার দেশের মানুষ আমাকে দলে দেখতে চায়, তাহলে কেন আমি অবসর নেব? কিন্তু, এটা সম্পূর্ণই তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ’
এদিকে, মিববাহ জানিয়েছেন, ‘আমি এটা নিয়ে ইউনিসের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলেছি খেলা চালিয়ে যেতে। সে আরও দুই-এক বছর খেলতে পারবে। নতুনদের দিয়ে তার জায়গা পূরণ হবার নয়। পাকিস্তান দল তাকে শুধু একজন ব্যাটসম্যান হিসেবেই হারাবে না, একজন উপদেষ্টা হিসেবেও মিস করবে। সে অন্যদের জন্য রোল মডেল। আর তার জায়গা পূরণ করাটাও বেশ কঠিন। দলের প্রত্যেকের মতো আমিও ইউনিসের কাছে অনেক কিছু শিখতে পারছি। সে আমাদের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ মুহূর্তেই পাল্টে দিতে পারে। ফিটনেস থাকলে তার আরও খেলে যাওয়া উচিৎ। ’
পাকিস্তানের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১১৬টি টেস্ট খেলতে নেমেছেন ইউনিস। ৫৩.০৬ গড়ে রান ৯৯৭৭। ৩২টি অর্ধশতকের পাশাপাশি রয়েছে ৩৪টি সেঞ্চুরি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২৬৫ ওয়ানডেতে ৩১.২৪ গড়ে ৭২৪৯ ও ২৫টি টি-টোয়েন্টিতে ২২.১০ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪২ রান। ওয়ানডেতে ৭টি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৪৮টি অর্ধ-শতক। টি-টোয়েন্টিতেও রয়েছে দুটি ফিফটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইউনিসের নামের পাশে রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও করেছেন প্রায় দশ হাজার রান। সম্প্রতি ইউনিস খানের নাম ওঠে উইজডেনের বর্ষসেরা ৫ ক্রিকেটারের তালিকায়।
১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়া ইউনিস খানের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০০ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে। একই বছর ওয়ানডেতে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও তার অভিষেক ঘটে। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। টেস্ট চালিয়ে গেলেও ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর থেকে ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে নামেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ২২ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি