সভাশেষে সাকিবের নেতৃ্ত্ব সম্পর্কে গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘আপনারা জানেন টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফি আর অধিনায়কত্বে নেই। সামনে পাকিস্তান আসতে পারে।
সাকিব প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘সে যেহেতু সহ-অধিনায়ক ছিল তাই এমনিতেই ওর নাম চলে এসেছে। তাছাড়া অন্য নামও ছিল। তবে সব দিক বিবেচনা করে সাকিব সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। তার পারফরমেন্স এখন অসাধারণ। ’
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় এই ফরমেটকে বিদায় জানান মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এর আগেও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটা ২০০৯ সালের কথা। ওই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় অধিনায়কত্ব পান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ইনজুরি কাটিয়ে ওঠার পর নেতৃত্ব মাশরাফি ফিরেও পেলেও ওই বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে খেলতে নেমে আবার ইনজুরিতে পড়েন মাশরাফি। ফলে আরেকবার সাকিবকে দলপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে খুব বেশি দিন তার নেতৃত্ব স্থায়ী হয়নি। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর মুশফিকের কাছে নেতৃত্ব হারান সাকিব। এরপর ২০১৪ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণে মাশরাফিকে অধিনায়ক করে সাকিবকে করা হয় তার সহকারী।
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৩১ বলে ৩৮ রানের পর ৪ ওভার বল করে তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
আর তার এমন পারফরমেন্সেই দুই ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিতে ১-১ এ সমতা আনে বাংলাদেশ। তাছাড়া সাকিবের আগের পারফরমেন্স তো আছেই।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, ২২ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি