সোহেল বলেন, ‘অবশ্যই এটা আইনের আওতায় করা হয়েছে। বিসিবি আইন বহির্ভূত কোনো কাজ কখনও করেনি।
বুধবার (৩ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবনে তিনি গণমাধ্যমকে একথা বলেন।
আইনের কোনো ধারায় দুই বোলারের শাস্তির এই সিদ্ধান্ত আপনারা নিলেন? গণমাধ্যমে এমন প্রশ্নের উত্তরে সোহেল জানান, ‘আপনারা জানেন আমাদের ১৬তম বোর্ড সভায় একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটি দীর্ঘদিন তদন্ত করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে বলা ছিল তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন জমা দিবে তার প্রেক্ষিতেই আমরা শাস্তি দিব। ’
তদন্ত ও শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখেছি, ক্লাব, খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তা এরা সবাই দোষী। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুনাম ক্ষুন্ন করতেই একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র শুরু করছে যার ফলশ্রুতিতে আমাদের ক্রিকেটে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গত কারণে আমরাও বাধ্য হয়েছি এমন শাস্তি দিতে যাতে করে পরবর্তীতে এমন ঘটনা না ঘটে। ’
এটা ঠিক যে সুজন ও তাসনিম ওভাবে বাজে আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদ করে বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তখন আম্পায়াররা কি করেছেন? ধারাবাহিকভাবে দুই দুইজন বোলার ওভাবে ওয়াইড নো দিয়ে গেল তারপরেও বিষয়টি কেন তাদের নজরে আসেনি? তারা কেন দুই বোলারকে সতর্ক করেননি?
দুই বোলারের পাশাপাশি এই ঘটনায় তাদের অপরাধও কোন অংশেই কম নয়। সঙ্গত কারণেই ঠিকমতো ম্যাচ পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় দুই আম্পায়ার আজিজুল বারী ও শামসুর রহমানের ছয় মাসের শাস্তি কম হয়ে গেছে।
তবে আগামীতে তাদের এমন কর্মকান্ডের ফলাফল ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন শেখ সোহেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ৩ মে ২০১৭
এইচএল/এমএমএস