ত্রি-দেশীয় সিরিজে একটি দল চারটি করেই ম্যাচ খেলতে পারবে। তবে প্রাপ্তির সম্ভাবনার সঙ্গে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে আছে হারানোর শঙ্কাও।
এই সিরিজে বাংলাদেশ লাভবান হবে কিউইদের বিপক্ষে জিতলে। তবে হারলেও খুব একটা ক্ষতি হবে না। কিন্তু যদি আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচ হারে তবে বেশ শঙ্কায় পড়তে হতে পারে।
এ মাসের প্রথম তারিখ পুনর্বিন্যস্ত হয়েছে আইসিসির র্যাঙ্কিং। ২০১৪ সালের পর থেকে দলগুলোর পারফরম্যান্সে ওপর ভিত্তি করে সাজানো এই র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে বাংলাদেশ। ১ পয়েন্ট কমে ৯১ পয়েন্ট হলেও আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সাতেই রয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সেদিনই জানা গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজ দিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। এক বিবৃতিতে আইসিসিও সেটা নিশ্চিত করেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি জয়ে ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ পেছনে ফেলতে পারে ষষ্ঠ স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কাকে (৯৩)। চারটি ম্যাচই জিতলে মাশরাফিদের পয়েন্ট হবে ৯৭।
গত ১ মে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিং বার্ষিক হালনাগাদের পর বাংলাদেশের পয়েন্ট ৯১। আট নম্বরে থাকা পাকিস্তানের চেয়ে ৩ আর নয় নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে আছে চন্দিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি জয়ের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই হারে বাংলাদেশ হারাবে ১ পয়েন্ট। নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই হারের সঙ্গে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এক পরাজয়ে ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে মাশরাফিদের নেমে যেতে হবে পাকিস্তানের নিচে। চার ম্যাচেই হারলে পয়েন্ট হবে ৮৩।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ হারলেও চার নম্বরেই থাকবে নিউজিল্যান্ড। ১১৫ পয়েন্ট থেকে কমবে তিন পয়েন্ট। এর সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারলে ইংল্যান্ডের (১০৯) পিছনে পড়তে হবে তাদের।
২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে কোন আট দল, সেটি নির্ধারিত হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও র্যাঙ্কিংয়ের অন্য শীর্ষ সাত দল পাবে সরাসরি খেলার টিকেট। বাকি দুই দলকে আসতে হবে বাছাইপর্ব খেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ১০ মে, ২০১৭
এমএমএস