বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফলাফল না হওয়া এই ম্যাচের ফলে আবারও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে টাইগারদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা।
বাংলাদেশের সামনে সমীকরণটা খুবই সহজ।
ফলে ওই তিন দলের মধ্য থেকে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে কোন দুই দল সেমিফাইনালে যাবার টিকিট পাবে, এমন হিসাব-নিকাশও এখন অমূলক।
বাংলাদেশের জন্য এখন করণীয় যা, তা একদম পরিস্কার। আগামী ৫ জুন লন্ডনের দি ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা যদি তারা জেতে, আর তারপর ৯ জুন এজবাস্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি, তাহলেই তাদের সেমিফাইনাল যাত্রা নিশ্চিত। তাই বলা যায়, বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে বাংলাদেশের জন্য একপ্রকার ভালোই হয়েছে।
তবে মুদ্রার অপরপিঠে একটি নেতিবাচক দিকও কিন্তু রয়েই যায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যে ফরম্যাট, তাতে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলা হচ্ছিল মাত্র একটি জয় নিয়েও কোন দলের গাণিতিক হিসাব-নিকাশে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া ও তার সুবাদে দুই দলের এক পয়েন্ট করে পাওয়ায়, স্রেফ এক ম্যাচ জিতে শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেছে।
এখন বাংলাদেশের সামনে একটাই রাস্তা। হয় দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠো, নয়ত এক ম্যাচ হেরে বসলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নাও। তারপরও শেষ পর্যন্ত নেতিবাচকতার চেয়ে ইতিবাচকতাই আসলে বেশি। কারণ এখন সমীকরণ যা দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশের ভাগ্য তাদের নিজেদেরই হাতে।
এর ফলে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য অন্য কারও মুখ চেয়ে বসে থাকা, কিংবা কোন বিশেষ দলের জয় বা পরাজয়ের আশা করে থাকতে হবে না। নিজেদের যোগ্যতাতেই তারা সেমিফাইনালের টিকিট কাটতে পারবে।
আগামী ৫ জুন ওভালে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অজিদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আর চারদিন পরে (৯ জুন) কার্ডিফে বিকেল সাড়ে তিনটায় কিউইরা খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ০৩ জুন, ২০১৭
এমএমএস
আরও পড়ুন...
**বৃষ্টিতে ভেসে গেল নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ