বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড’ তিনি। নাম সাকিব আল হাসান।
লাগে আর মাত্র ৩২। যাতে তিনি বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ক্রিকেটার এবং বিশ্বে পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করবেন।
কেবল ৩২ রান হলেই ওয়ানডেতে সাকিবের হবে পাঁচ হাজার রান। ১৭৭তম ম্যাচে তিনি এই রানের মালিক হয়ত হতেই যাচ্ছেন।
তার আগে এই সুখস্মৃতি মাত্র চার ক্রিকেটারের। যারা হলেন শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া ৪৪৫ ম্যাচে ১৩৪৩০ রান। ২৮ শতক। ৩২৩ উইকেট, সেরা ৬/২৯।
দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ৩২৮ ম্যাচে ১১৫৭৯ রান। ১৭ শতক। ২৭৩ উইকেট, সেরা ৫/৩০।
পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ৩৯৮ ম্যাচে ৮০৬৪ রান। ৬ শতক। ৩৯৫ উইকেট, সেরা ৭/১২।
পাকিস্তানের আব্দুর রাজ্জাক ২৬৫ ম্যাচে ৫০৮০ রান। ৩ শতক। ২৬৯ উইকেট, সেরা ৬/৩৫।
এইতো গত বছরই সাকিব ক্রিস হ্যারিস ও ক্রিস কেয়ার্নসের পেছনে ছিলেন। গত কয়েকমাসের রান সংগ্রহে তাদের ইতোমধ্যে পেছনে ফেলেছেন।
এছাড়া ২২৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি (প্রথম মাশরাফি)।
ব্যাটে-বলের সমান ছন্দের কারণে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার তিনি; শুধু ওয়ানডে নয়- ক্রিকেটের সব ভার্সনেই।
মিস্টার সেভেনটি-ফাইভ টেস্টেও বাংলার গ্রেট। ৪৯ টেস্টে রান প্রায় সাড়ে তিন হাজার, উইকেট সংখ্যা ১৭৬। টি-টোয়েন্টিতেও কম যান না; মাগুরার এই সন্তান দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সব থেকে বেশি রান ও উইকেটের মালিক (১২০৮ রান এবং ৭০ উইকেট)।
এছাড়া বাংলার ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার রেকর্ডও সাকিবের। সবশেষ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৪ রান করে ম্যাচ সেরা হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
আইএ