অতীতে শ্রীলঙ্কায় কমপেক্ষ দু’জন ক্রিকেটার ব্যাকআপ হিসেবে প্রস্তুত রাখা হতো, যারা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অর্জুনা রানাতুঙ্গা এবং অরবিন্দ ডি সিলভা থেকে সনাৎ জয়সুরিয়া এবং মারভান আতাপাতু সময়কাল পর্যন্ত এভাবেই দল এগিয়ে গিয়েছে।
সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার দল নির্বাচনের বর্তমান পদ্ধতিটাকে খুব ভালো মনে হচ্ছে না সাঙ্গাকারার। তাই অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসসেরা এই ব্যাটসম্যান সামনে এনেছেন ইংল্যান্ডকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়া দলটি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে যেভাবে নিজেদের বদলে ফেলেছে, সেটা থেকেই শিক্ষা নিতে বলছেন সাঙ্গা। প্রয়োজনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ারও পক্ষে তিনি।
এ প্রসঙ্গে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘আমার মতে বিশ্বে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে, যারা কঠিন সিদ্ধান্ত এবং বড় পরিবর্তনেই অতদূর পৌঁছেছে। সবশেষ বিশ্বকাপের পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দলে পরিবর্তনের জন্য ইংল্যান্ড কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে ক্রিকেট পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছে, নতুন কোচিং স্টাফ এনেছে, যার সুফল পাচ্ছে তারা। ’
বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ সেঞ্চুরি পাওয়া দিনেশ চান্দিমাল কে সাবেক খেলোয়াড়দের উত্তরসূরি বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতায় তাকেও হারাতে বসেছে শ্রীলংকা এমনটাই ধারণা সাঙ্গাকারার, ‘আমি মনে করি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভালো খেলে দিনেশ চান্ডিমাল আগেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন। একটা সময় সে সেরা তরুণ খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু তাকে দ্রুতই অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে বাদ দেয়া হয় সেই পদ থেকে, বাদ পড়েন দল থেকেও। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ১২ জুন, ২০১৭
এমএমএস