কিন্তু শনিবার (১১ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের সেমিফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচ জয়ের পর আবার গলার জোর বাড়লো সাবেক এ ওপেনারের। কিন্তু সেই একই সুরে।
ম্যাচ জয়ের পর টুইটারে শেবাগ লিখলেন, ‘ভারতের কী দারুণ জয়। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য শুভকামনা। ’সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে দলের পরবর্তী ম্যাচ সেমিফাইনালের জন্য শুভকামনা জানাতেই পারেন। কিন্তু শেবাগ যে সেমিফাইনাল জয় ধরে নিয়ে ফাইনালের জন্যও শুভকামনা জানালেন!
আগামী ১৫ জুন গ্রুপ ‘বি’র চ্যাম্পিয়ন হিসেবে (চলতে থাকা পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের গতিপ্রকৃতি পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে না) গ্রুপ ‘এ’র রানারআপ বাংলাদেশের সঙ্গে খেলতে হবে ভারতকে। টাইগারদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরেই কি এমন তাচ্ছিল্য করলেন শেবাগ? হতেও পারে।
শেবাগের অতীত রেকর্ডও বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য করার। এই শেবাগই ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে বলেছিলেন, ‘এটা সাধারণ একটা ম্যাচ। ’ ফল সেই ম্যাচে উল্টো উড়ে যেতে হয়েছিল শেবাগের স্টাম্প এবং খোদ তার দলকে। তার দল একেবারে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যায় সেবার। তার বছর তিনেক পর ২০১০ সালে ভারতের বাংলাদেশ সফরে শেবাগ বলেছিলেন, বাংলাদেশ সাইড অর্ডিনারি। এমনকি বাংলাদেশের বোলাররা ভারতের ২০ উইকেট ফেলতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সেই শেবাগের দল যদিও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়েছে, এমনকি গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়ানডে সিরিজে শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছিল, তবু এই ওপেনারের ‘বড়ে মিয়া’ ধাঁচের মন্তব্য বন্ধ হয় না।
১৫ জুন বার্মিংহামের এজবাস্টনে বাংলাদেশ-ভারতের লড়াইয়ের পর কী মুখ বন্ধ হবে শেবাগের? টাইগার ক্রিকেট ভক্তরাতো ‘হ্যাঁ’ মনে মনে বলতেই পারেন, অন্তত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা অবস্থা দেখে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
এইচএ/