এ রিপোর্ট লেখা অবধি পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৮ ওভার শেষে তিন উইকেটে ১০৬। আজহার আলী ৩২ ও শোয়েব মালিক ৫ রানে ব্যাট করছেন।
ওপেনিং জুটিতে ৭৪ রান তোলেন আজহার আলী ও ফখর জামান। অর্ধশতক হাঁকিয়ে ফেরেন জামান (৩৬ বলে ৫০)। এরপর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৯২ রানে নুয়ান প্রদীপের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বাবর আজম (১০)। ৩ রান যোগ হতেই থিসারা পেরেরার বলে প্রদীপের হাতে ক্যাচ তুলে দেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ (১)।
সোমবার (১২ জুন) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান দলপতি সরফরাজ আহমেদ। বাঁচামরার ম্যাচে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে ব্যর্থ হয় লঙ্কানরা। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে আমির-জুনায়েদ-হাসান আলীদের বোলিং নৈপুণ্যে ৪ বল বাকি থাকতে ২৩৬ রানে থামে তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলা।
একটা পর্যায়ে ১৬৭ রানে সাত উইকেট হারিয়ে বসে। অষ্টম উইকেটে লাকমল-গুনারত্নের ৪৬ রানের জুটিতে দলীয় স্কোর দুইশ’ পার হয়। সুরাঙ্গা লাকমল ২৬ ও আসিলা গুনারত্নে ২৭ রান করে আউট হন। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন লাসিথ মালিঙ্গা।
ম্যাথিউস-ডিকওয়েলার চতুর্থ উইকেট জুটি (৭৮) ভাঙার পরই যেন লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপে হঠাৎ ছন্দপতন! দ্রুত আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজই ফেলে দেয় লঙ্কানরা।
টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে উইকেটের দেখা পান মোহাম্মদ আমির। দু’টি উইকেট লাভ করেন। তিনটি করে নেন জুনায়েদ খান ও হাসান আলী। এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাশ দুই উইকেট নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন।
৩২তম ওভারে ম্যাথিউসকে (৩৯) বোল্ড করে অপেক্ষার ইতি টানেন আমির। স্কোর তখন ১৬১। পরের ওভারেই ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (১) সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসবন্দি করেন জুনায়েদ। এর পরের ওভারে আবারো আমির ঝলক। এবার তার শিকার সেট ব্যাটসম্যান ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলা (৭৩)। সরফরাজের গ্লাভসে আটকা পড়েন তিনি।
এর পরের ওভারে এসে অাবারো উইকেট উদযাপনে মাতেন জুনায়েদ। বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই থিসারা পেরেরাকে (১) বাবর আজমের ক্যাচবন্দি করেন। টানা চার ওভারে চারটি উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় লঙ্কানরা। ৬ রানের মধ্যে ৪টি উইকেটের পতন ঘটে। ৩ উইকেটে ১৬১ থেকে ৭ উইকেটে ১৬৭!
এর আগে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দানুশকা গুনাথিলাকাকে (১৩) শোয়েব মালিকের ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন জুনায়েদ। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ৫৬ রানের পার্টনারশিপে রানের চাকা সচল রাখেন ডিকওয়েলা।
দলীয় ৮২ রানের মাথায় হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস (২৭)। এক রান যোগ হতেই দিনেশ চান্দিমালকে ফিরিয়ে সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমণি বনে যান অভিষিক্ত ফাহিম আশরাফ।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যেই তিনটি দল শেষ চারে পা রেখেছে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গী বাংলাদেশ। বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। শেষ দল হিসেবে সেমিতে উঠবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিজয়ী।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: নিরোশান ডিকওয়েলা (উইকেটরক্ষক), দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অধিনায়ক), আসিলা গুনারত্নে, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, সুরাঙ্গা লাকমল, লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ।
পাকিস্তান একাদশ: আজহার আলী, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ আমির, হাসান আলী, জুনায়েদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ১২ জুন, ২০১৭
এমআরএম