ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বরিশাল বুলসকে ‘ফকিরনি’ বলেছিলেন মুশফিক!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
বরিশাল বুলসকে ‘ফকিরনি’ বলেছিলেন মুশফিক! বরিশাল বুলসকে ‘ফকিরনি’ বলেছিলেন মুশফিক!-ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ঘটনার শুরু নাকি বিপিএলের গেল আসরের মাঝামাঝি সময়ে। আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে নিজ দল বরিশাল বুলসকে ‘ফকিরনি’ বলে অভিহিত করেছিলেন দলটির ওই আসরের আইকন প্লেয়ার ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

এ দাবি বরিশাল বুলস এর অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী এমএ আউয়াল চৌধুরী ভুলু’র। বাংলানিউজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি এমনটি জানান।

শুধু তাই নয়, সেই ফটোসেশনে বরিশাল বুলসের সব স্বত্ত্বাধিকারীসহ ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি আউয়াল চৌধুরীর।  

তিনি এও বলছেন, ওই সময় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বরাবর মুশফিকের নামে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিলো বরিশাল বুলস এর পক্ষে। পুরো বিষয়টিই নাকি বরিশাল বুলস এর তৎকালীন ম্যানেজার ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ জানতেন।  

যদিও বিষয়টি খোলাসা করার জন্য ফারুক আহমেদকে পাওয়া যায়নি। তবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য শেখ সোহেল জানিয়েছেন, এমন কোনো অভিযোগ পত্র কখনোই জমা পড়েনি কাউন্সিলে।

তাহলে কি ভিত্তি এম এ আউয়াল চৌধুরীর তোলা অভিযোগের? কেনো তিনি ঘটনার সময়েই তার প্রতীকার চাইলেন না? 

আউয়াল চৌধুরী’র ব্যাখ্যা, তখন বিপিএল চলছিল। তা‍ৎক্ষণিক মুশফিকের ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করলে টুর্নামেন্টে দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারতো। তাই মুশফিককে তখন কিছুই বলেনি বরিশাল বুলসের ফ্রেঞ্চাইজিরা।  কিন্তু তারপর? গত ১ বছরে কেনো এ নিয়ে মুখ খুললেন না বরিশাল বুলস এর কর্ণধাররা?

আউয়াল চৌধুরীর বক্তব্য, বিপিএলের পরপরই দেশের বাইরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটির ট্যুর ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় আসর ছিল। ওই সময় ওর (মুশফিক) বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হলে দলে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।  

তিনি বলেন, মালিক হিসেবে বিষয়টি আমি ইতিবাচকভাবে দেখিনি বলেই প্রাইভেট ও টিভি চ্যানেলটিকে দেয়া সাক্ষতকারে মুশফিককে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করেছি। বিসিবি’র একজন পরিচালক হিসেবে নয়, দলের মালিক হিসেবেই আমি ওকে এসব কথা বলেছি। যেহেতু আমরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে দল গঠন করি ও চালাই, সেহেতু আমি ওকে একথা বলতেই পারি।  

তবে আউয়াল চৌধুরী যাই বলুন না কেনো, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য শেখে সোহেল এর বক্তব্য, মুশফিকের নামে অভিযোগের কোনো কাগজ দেখিনি। কার কাছে ভুলু ভাই অভিযোগ দিয়েছেন জানি না। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায়ও আমি এরকম কিছু শুনিনি। আমার জানা মতে, এমন  কোনো ইস্যু নেই।           

বিপিএলের গেল আসরে বরিশাল বুলসের পারফরম্যান্স ততটা সন্তোষজনক ছিল না। ফলে টুর্নামেন্টের শেষ চারের আগেই দলটি আসর থেকে বিদায় নেয়। তবে দল ভাল না করলেও আইকন প্লেয়ার ও অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকের পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসনীয়। ১২ ম্যাচে ৩৭. ৮৮ গড়ে ৩৪১ রান সংগ্রহ করে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনিই ছিলেন শীর্ষে।

তাতে অবশ্য মালিক পক্ষের মন জয় করতে পারেননি মুশফিক। তাই প্রায় একবছর পর গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে মিস্টার ডিপেনডেবল মুশফিকের শৃঙ্খলাবোধ ও দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভুলু।  

অবশ্য ওই অভিযোগের পরদিনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ভুলুর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই, ২০১৭
এইচএল/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।