ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আরও ইতিবাচক, গোছালো ও আক্রমণাত্মক মাহমুদউল্লাহ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
আরও ইতিবাচক, গোছালো ও আক্রমণাত্মক মাহমুদউল্লাহ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ক্যারিয়ারের এক দশক পার করতে চড়াই উতরাই কম দেখেননি। কখনও জাতীয় দলে তার ব্যাটিং অর্ডার বদলেছে কখনও বা টেস্ট ফরমেট থেকে তাকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তারপরেও জাতীয় দলে নিজের জায়গাটি বেশ ভালোভাবেই পাকাপোক্ত করেছেন ৩১ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সেটা অবশ্য অন্য কিছুর বিনিময়ে নয়, নিজ পারফরম্যান্স গুণে।

দারুণ নির্ভরশীল ব্যাটিং ও পার্টটাইম বোলিং নিয়ে হয়ে উঠেছেন লাল-সবুজের ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।

বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার নায়ক তিনি। কম যাননি সদ্য সমাপ্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের সঙ্গে ২২৪ রানের রেকর্ড জুটিতে অপরাজিত ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকিয়ে রাখেন।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও দলের হয়ে নির্ভরতা দেখিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডাবলিনে কিউইদের বিপক্ষেই তার অপরাজিত ৪৬ ও ৫১ রান মাশরাফিদের শিবিরে এনে দেয় স্বস্তি।

এর আগের সিরিজগুলোতে তাকে অবশ্য সেভাবে দেখা যায়নি। গেল বছরের অক্টোবরে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৫ রানের ইনিংসটি খেলার পর নিউজিল্যান্ড, ভারত এমনকি শ্রীলঙ্কা সিরিজেও তার ব্যাট নিস্প্রভ ছিল।  হঠাৎ করেই ফর্মে ফেরেন আয়ারল্যান্ড সিরিজ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে।

আর ব্যাটিংয়ে নিজের পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে মাহমুদউল্লাহ দাঁড় করালেন তার পরিবর্তিত মানসিকতাকে, ‘এখন আমি আগের চেয়ে বেশি গোছানো। আরও বেশি ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক। এই জিনিসটা আমাকে বেশি সাহায্য করেছে। আর ফিটনেস এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। ফিটনেস নিয়ে সচেতনতাও বেড়েছে। তবে এটা ধরে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। ’

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে  সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি নিজের এমন পরিবর্তনের কথা জানান।

একথা অনস্বীকার্য যে দলের প্রয়োজনে রিয়াদ সবসময়েই নিজের সেরাটি দিতে চেষ্টা করেছেন। কখনও হয়েছে কখনও হয়তো হয়নি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অবদান ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পরিতাপের বিষয় হলো এত কিছু দেয়ার পরও ব্যাটিং পজিশনের মতো তার ক্যারিয়ারটা নড়বড়ে থেকে গেল! এইতো শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট ক্রিকেটে জায়গাটি হারালেন। তবে তাই বলে থেমে থাকতে চাইছেন না। লড়াইয়ের শেষও দেখছেন না।

‘প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটাই এমন যে কখনোই থিতু হতে পারবেন না। যত দিন যাবে, আপনাকে নিয়ে প্রতিটি টিম ততই ওয়ার্কআউট করবে। দুর্বলতা বের করতে চাইবে। আমি মানসিকভাবে এখন অনেক গোছানো। এটা তাই বুঝতে পারি যে, আমার কোথায় শক্তির জায়গা, কোথায় কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টেস্টে ৩৩ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ১৩ ফিফটিতে ১৮০৯ রান সংগ্রহ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪৫ ওয়ানডেতে ৩টি শতক ও ১৭ হাফ সেঞ্চুরিতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩১৫৫। আর ৫৮টি টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ৮১০ রান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।