ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পারফরম্যান্স তেষ্টা মেটেনি রিয়াদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
পারফরম্যান্স তেষ্টা মেটেনি রিয়াদের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ/ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিয়ারের এক দশকের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার, সিনিয়র প্লেয়ার ও অন্যতম স্তম্ভ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও অফস্পিনার।

দশ বছরে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন বদলেছে বিশ্ব ক্রিকেট, তেমনি বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটও।

আজ থেকে ১০ বছর আগে ঠিক এই দিনে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশকে যে অবস্থায় দেখেছিলেন সন্দেহাতীতভাবেই এদেশের ক্রিকেট আজ সে অবস্থায় নেই। টাইগার ক্রিকেটের এই দিনবদলের পালায় অবদান রেখেছেন অনেকেই।

তাদের ভেতর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্যই অন্যতম। কীভাবে? ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে তার ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরিতে প্রথমবারের মতো শেষআটের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে নির্ভরতার ছাপ রেখেছেন সদ্য সমাপ্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিবের সাথে রেকর্ড ২২৪ রানের জুটিতে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলে। যেখান থেকে প্রথমবার সেমিতে খেলার দৌড়ে টিকে থাকে লাল-সবুজের দল। পুরো ক্রিকেট বিশ্ব সেদিন বুঁদ হয়েছিল তার ক্ষুরধার পারফরম্যান্সে।

তবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, দেশের হয়ে এমন মারমার কাটকাট পারফর্ম করেও ঠিক যেন তৃপ্ত নন এই টাইগার অলরাউন্ডার। চাইছেন দলের হয়ে আরও বেশি পারফরম্যান্স দেখিয়ে তৃপ্ত হতে, ‘বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ১০টা বছর পার করলাম। ১০ বছরে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে, সেটা জাতীয় দলে কাজে লাগানোটাই বড় ব্যাপার। চেষ্টা করব আরও বেশ কয়েক বছর যাতে পারফর্ম করে যেতে পারি।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে নিজের এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন মাহমুদউল্লাহ।

রিয়াদের মতোই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অপর চার ক্রিকেটার মাশরাফি, সাকিব, তামিম ও মুশফিক পার করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১০ বছর। রিয়াদের মতে তাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন দারুণ অভিজ্ঞ ও পরিণত। আর অনাগত দিনগুলোতে এই ক্রিকেটাররাই দেশের অন্যতম শক্তি বলে বিশ্বাস তাঁ।

‘মাশরাফি ভাই, সাকিব-তামিম-মুশফিকও ১০ বছর পার করেছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক দলের জন্য। আমার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার বললে, এখন দায়িত্বও বেড়ে গেছে। যে কয় বছর খেলব আরও, এই দায়িত্ব যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি। ওরাও আশা করি আরও অনেক দিন খেলবে। বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকায় আমাদের কম্বিনেশনটা এখন খুব ভালো। ’

গেল দশ বছরে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা দিয়েছেন তা অমূল্য। আজ যে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তিদের বলে কয়ে হারায়, টাইগারদের সেই উজ্জীবনী মানসিকতায় রিয়াদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তার হাত ধরে ভবিষ্যতেও টাইগারদের আরও স্বর্ণালী সাফল্য আসবে এমনই বিশ্বাস লাল-সবুজের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।