ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ কেন গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ কেন গুরুত্বপূর্ণ?-ছবি:সংগৃহীত

গত দুই বছর ধরে এই সিরিজটি নিয়ে কথা হচ্ছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসার কথা ছিলো। তবে নিরাপত্তার অযুহাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে বিরতি নেয়। কিন্তু এবার আর শঙ্কা নেই। আগস্ট থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে রোমাঞ্চকর এই সিরিজটি।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের জন্যই এই সিরিজটি বেশ গুরুত্ব বহন করে। কেননা এই সিরিজটি আবার র‌্যাংকিংয়েও প্রভাব ফেলবে।

এছাড়া অজিদের পরবর্তী অ্যাশেজ সিরিজ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এই সিরিজটি।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১৮ আগস্ট বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। দুই দিনের একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলে ২৭ আগস্ট মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে।

আসছে সিরিজ নিয়ে নিচে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরা হলো:

১/ টেস্ট খেলতে ১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর: সর্বশেষ ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ খেলেছে অজিরা। টাইগাররা সে সময়ের দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলেও সিরিজ ২-০তে হেরেছিল। তবে এরপর ২০১৫ সালে ফের সফর করার কথা থাকলেও নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েই সফরে ইতিবাচক অজিরা।

২/ টেস্টে এখন চোখ রাঙানিয়া দল বাংলাদেশ: টেস্টে এখন আর বাংলাদেশ আগের অবস্থানে নেই। র‌্যাংকিংয়ে নয় নম্বর দল হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে অজিদের ২-০তে হোয়াইটওয়াশ করলেও বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা গত বছরই ঘরের মাঠে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জেতে টাইগাররা। এরপর শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে সাদা পোশাকে নিজেদের শততম টেস্টে জয় পায় মুশফিক বাহিনী।

৩/ অজিদের অ্যাশেজ ও বাংলাদেশের দ. আফ্রিকা প্রস্তুতি: এই সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক অ্যাশেজে। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজটি অজিরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। ফলে বাংলাদেশের সিরিজটিও সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে খেলবে দলটি। অন্যদিকে এই সিরিজের পর বাংলাদেশ যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। এশিয়ার দেশগুলোর জন্য দ. আফ্রিকা বরাবরই চ্যালেঞ্জ। সুতরাং বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জের বড় একটি মহড়া পেয়ে যাচ্ছে।

৪/ এই সিরিজে দু’দলের জন্য থাকছে র‌্যাংকিং প্রভাব: আইসিসির র‌্যাংকিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে টেস্টে টাইগাররা আট নম্বরে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে। যেকোনো ব্যবধানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ জিতলেই র‌্যাংকিংয়ে নয় নম্বর থেকে লাফ দিয়ে উঠে আসবে আট নম্বরে। তবে অন্যদিকে হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যেকোনো ব্যবধানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারতে হবে।

৫/ অস্ট্রেলিয়ানদের এশিয়া ভীতি: সর্বশেষ এশিয়াতে ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে অজিরা। শুধু এটিই না, গত ১৩ টেস্টে তারা ১১টিতেই হেরেছে। জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। ২০১১ সালে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে শেষ ১-০তে সিরিজ জিতেছিলো ব্যাগি গ্রীনের দেশ। আর ২-০তে সর্বশেষ সিরিজ জয় ছিল ২০০৬ সালে বাংলাদেশেরই বিপক্ষে।

৬/ দ্য বুল বনাম দ্য ফিজ: এই টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলতে দেখা যেতে পারে আইপিএলের দল সাইরাইজার্সের দুই সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার (বুল) ও মোস্তাফিজুর রহমানকে (ফিজ)। যদিও কাটার মাস্টার এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছেন। তবে সম্প্রতি বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের কাছে নিজের পারফরম্যান্স ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে এটিই হবে ওয়ার্নারের প্রথম বাংলাদেশ সফর। যদিও এশিয়ার মাটিতে ১৩ টেস্টে বাঁহাতি এ ওপেনারের গড় ৩০.৩৮। যেখানে তার ক্যারিয়ার গড় ৪৭.৪২।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ০৮ আগস্ট, ২০১৭
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।