ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এবাদত এখন অনেকটাই গোছালো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এবাদত এখন অনেকটাই গোছালো ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

রবি পেসার হান্টে ঘণ্টায় ১৩৯ কিলোমিটার বেগে বল ছুঁড়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এবাদত হোসেন। হয়েছিলেন সেরাদের সেরা। পেস বোলিং হান্টে সেরা হবার পর ছিলেন এইচপি দলের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

এরপর গত মৌসুমের জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়াল লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়। কিন্তু প্রথম আসরে তাকে আপন ছন্দে দেখা যায়নি।

বল হাতে অনেকটাই বিবর্ণ ছিলেন।

তবে বল হাতে গতির ঝড় তোলা এবাদতকে ছন্দে ফেরাতে উদ্যোগ নেয় বিসিবি। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরে ডাক পান টাইগার দলের ক্যাম্পে। সেখানেই পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের কাছে পেয়েছেন কার্যকরী নির্দেশনা।

তাতে হয়তো কাজও হয়েছে বেশ। কেননা গত মাসে এইচপি দলের হয়ে ডারউইনে ৩ ম্যাচে তুলে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষেও বল হাতে ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। সাইফ-আফিফদের ৪টি উইকেটের পতন তিনি একাই ঘটিয়েছেন। বিষয়টি তাকে দারণ আলোড়িত করেছে।

‘এইচপি ক্যাম্পে আসার পর চেষ্টা করেছি সেরাটা দিয়ে নিজেকে ফিরে পেতে। যখন অস্ট্রেলিয়া গেলাম সেখানেও অনেক ভালো হয়েছে। সেখান থেকেই আমি আগের ছন্দে চলে এসেছি। গতকালও ভালো বোলিং করেছি। তবে চেষ্টা করছি আমার যে ভুলগুলো আছে তা শুধরে আরও উন্নতি করা। চ্যালেঞ্জটা ছিল ওদের সেরা যে ব্যাটসম্যানরা আছে তাদের যেন বিট করতে পারি, তাদের উইকেট নিতে পারি। যে চারটা উইকেট পেয়েছি ওগুলো অনেক ভালো উইকেট ছিল। ’

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি ভবনে এসব কথাই তুলে ধরেন এবাদত। বল হাতে গতির ঝড় তুললেও নিজের সীমাবদ্ধতা বেশ ভালো করেই জানেন এবাদত। নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে নিজের রানআপ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। কিন্তু এখন তিনি যথেষ্টই তুষ্ট। আর বোলিংয়ে নিজের এই উন্নতির জন্য কৃতিত্বটা কোচদেরই দিলেন।

‘আমার রানআপে কিছু সমস্যা ছিল। ওইটা আমি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। যখন আমি নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলাম তখন বাংলাদেশ দলের কোচ (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) ও কোর্টনি ওয়ালশ অনেক সাহায্য করেছেন। এমনকি মারিও (ভিল্লাভারায়েন) আমাকে অনেক জিনিস দেখিয়ে দিয়েছেন। এখন এইচপিতে আসার পর অ-১৯ দলের কোচ (ড্যামিয়েন রাইট) আমাকে কিছু টিপস দিয়েছেন আর আমাদের কোচ সাইমন হেলমটও আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। ক্যাম্পে আসার পর আমার বোলিং অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। ’

আগামী ১৩ আগস্ট বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত হবে অ-১৯ ও এইচপি দলের মধ্যকার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ। একই ভেন্যুতে ১৬ ও ১৯ আগস্ট আরও দুটি ম্যাচ খেলবে তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অ-১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হাইপারফরমেন্স টিমের বিপক্ষে এই তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অ-১৯ দল। এরপর সেপ্টেম্বরে দেশের মাটিতে সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষেও তাদের ৫ ম্যাচ ওয়ানেডে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ১০ আগন্ট, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।