ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফতুল্লার সম্ভাবনাকে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
ফতুল্লার সম্ভাবনাকে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফতুল্লা ঘুরে: ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী আউটার স্টেডিয়ামের সেই থৈ থৈ পানি আর নেই। যা আছে তা সামান্য। ১ নম্বর গেট থেকে শুরু করে মূল ভেন্যু পর্যন্ত রাস্তার কোমর সমান পানি নেমে এসেছে। এখন যা আছে সেটা হলো কালো রঙা ময়লার স্তুপ। লম্বা একটি সময় পানি জমে থাকার পর তার তলদেশের অবস্থা যা হয়, ঠিক তেমনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তা থেকে কালো রঙের কাদারস্তুপ থেকে পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, ঘাস ও গাছের পাতা কুড়িয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, ‘এসব আবর্জনার জন্যই এই জলাদ্ধতাটুকু আছে।

এগুলো সরিয়ে ফেললে পানি যেটুকু আছে আর থাকবে না। ’ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএদিকে আশেপাশের ডাইং শিল্প কারাখানার রাসায়নিক মিশ্রিত গাঢ় রঙা লাল দূষিত পানির দাপট থেকে মুক্ত হয়েছে স্টেডিয়ামের অন্যান্য স্থানও। এর ফলে যেন অনেকটাই স্বস্তিতে ফিরেছে মূল ভেন্যু। আউটারের পানি হ্রাসের ফলে মূল ভেন্যুর পানিও অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে। আগে যেখানে ম্যাচের বাউন্ডারি সীমানার মধ্যে পানির স্থায়ী দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছিল, এখন সেটা নেই। নেমে এসেছে। তবে, দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রান্তের আউটফিল্ডে সামান্য কিছু পানি জমে আছে। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমআসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দুই দিনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের এই ভেন্যুর জলাবদ্ধ সংকট নিরসনে গত ৮ আগস্ট রাতে চারটি বড় বড় পাম্প বসিয়ে পানি নিষ্কাষণের উদ্যোগ নেয় বিসিবি। তারপর থেকেই দিনরাত বিশ্রামহীন চলছে পানি নিষ্কাষণের কাজ। শুধু তাই নয়, ১ নম্বর গেট থেকে স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি ঘেঁসে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়েছে, যা শেষ হয়েছে আউটারের বিল্ডিংয়ের সামনে। বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে স্টেডিয়ামের তিন ও চার নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায়। মোট কথা যেসব জায়গা দিয়ে পানি প্রবেশের সম্ভাবনা আছে তার প্রতিটি জায়গায় বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবালুর বাঁধ ও বড় বড় পাম্প দিয়ে সেচের ফলে দুই মাসেরও অধিক সময়ের জমে থাকা স্থায়ী জলাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিলো। হাসি ফুটেছিল ফতুল্লার বিসিবি ও ফতুল্লার ভেন্যু কর্মকর্তাদের মুখে। কিন্তু গত দুই দিনের টানা বৃষ্টি তাদের মুখের সেই হাসি ম্লান করে দিয়েছে। সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে আসছে।

ভেন্যু ম্যানেজার বাবুল মিয়া বেশ আফসোস করে জানালেন, ‘এই বৃষ্টিটা না হলে আর কোনো সমস্যাই ছিল না। মাত্র দু’দিন টানা রোদ পেলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। ’ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবৃষ্টির উপর তো আর কারো হাত নেই। প্রকৃতির সাথে তো যুদ্ধ চলে না। সেই বিষয়টিই যেন আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন, ‘আবহাওয়ার উপরেতো আমাদের কারো হাত নেই। বিসিবির প্রচেষ্টায় যেভাবে ফতুল্লার কাজ পানি নিষ্কাষণের কাজ এগিয়ে চলেছে তাতে বৃষ্টি না হলে আর কোনো সমস্যাই ছিল না। তবে টানা দু’দিন রোদ পেলে এবং আর বৃষ্টি না হলে এখানেই ম্যাচ নিয়ে আমি আশাবাদী। ’

** বেহাল ফতুল্লায় থৈ থৈ পানি

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ১২ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।