ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাশরাফিদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর ম্যাচ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
মাশরাফিদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর ম্যাচ ছবি: সংগৃহীত

স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর প্রিয় ফরমেট ওয়ানডেতেও সফরকারী বাংলাদেশের পারফর‌ম্যান্স ছিল হতাশাজনক। দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককের অবিস্মরণীয় রেকর্ড জুটিতে, কিম্বার্লিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মেনে নিতে হয়েছে ১০ উইকেটের দুঃস্বপ্নময় হারের লজ্জা।

সন্দেহাতীতভাবেই পার্লে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচের সেই হারের দুঃস্মৃতি নিয়েই মাঠে নামবে মাশরাফি ও তার দল। লাল-সবুজের দলের চ্যালেঞ্জটা ঠিক এখানেই।

নিজেদের মাঠে বরাবরই অজেয় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হয়তো এই ম্যাচে তাদের জয়ের আশাটা উচ্চাভিলাষের প্রতিশব্দ। কিন্তু লজ্জার হারতো এড়ানো সম্ভব। প্রথম ম্যাচে ওমন হারের বিশ্বরেকর্ডের পুনরাবৃত্তি নিশ্চয়ই হতে দিতে চাইবেন না টাইগারদের দিন বদলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্ত্তজা। ভাবনায় এখন হয়তো শুধুই সেটা।  

আবার একথাই বা কীভাবে বলি, দ. আফ্রিকা সফরে জয় নামক যে সোনার হরিণের খোঁজে কোচ হাথুরুসিংহের শিষ্যরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তা এই ম্যাচেও ধরা দিবে না? খেলাটা যেহেতু ক্রিকেট সেহেতু এমন অপরিনামদর্শী মন্তব্য থেকে বিরত থাকাটাই ভালো। তাছাড়া ক্রিকেটে দিন বদলের পালায় নিজেদের সামর্থের প্রমাণ দিয়ে বাংলাদেশ আজ যে উচ্চতায় অবস্থান করছে সেখানে এই ম্যাচেই জয় নামক সোনার হরিণের আশাটা নিশ্চয়ই অমূলক নয়।

সেই আশার বাস্তব রুপ দিতে হলে টাইগার শিবিরকে দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই। প্রথম ম্যাচে বোলাররা যে বল করেছেন দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের সেই নিষ্প্রাণ বলকে দিতে হবে প্রাণ। যে ক’টি ডেলিভারিই দেয়া হোক না তা যেন কার্যকর হয়। কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক উইকেট না আসুক মাশরাফি-সাকিবদের বল যেন তাদের অন্তত চাপে রাখতে পারে।

বোলিং ডিপার্টমেন্টে মাশরাফিরা নির্ভার থাকতে পারতেন যদি না ইনজুরির কারণে মোস্তাফিজ ছিটকে না যেতেন। গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) অনুশীলনে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে ছোট পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই ছিটকে গেছেন ‘কাটার মাস্টার’। অবশ্য তার জায়গায় ডাকা হয়েছে পেসার শফিউল ইসলামকে। দ. আফ্রিকায় দলের সাথে যোগ দিতে শিগগিরই তার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।    

আর ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নেবেন লম্বা জুটি করে এবং শটস বিবেচনা করে খেলে। আর যাই হোক টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কোনভাবেই ২০ ওভারের নিচে পপিং ক্রিজ ছাড়া যাবে না। তাহলে রানের অদৃশ্য চাপটি গিয়ে পড়বে মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডোরের ওপর। যা তাদের স্বাভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে বিঘ্ন ঘটিয়ে বড় সংগ্রহের পথটি রুদ্ধ করে দেবে। ডু প্লেসিদের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ না করার ফলাফল কতটা ভয়ংকর সেটা নিশ্চয়ই তারা ইতোমধ্যে অনুধাবন করেছেন।

তবে এই ম্যাচে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারে লাল-সবুজ শিবির। কেননা ইনজুরি জয় করে দলে ফেরার কথা রয়েছে তাদের প্রিয় ওপেনার তামিম ইকবালের।

আর ফিল্ডারররা দায়িত্ববোধের পরিচয়টি সঠিকভাবে দিতে পারবেন যদি প্রতিটি হাফ চান্সকে কাজে লাগাতে পারেন। হোক সেটা ক্যাচে কিংবা বাউন্ডারি রুখে দিতে কিংবা থ্রো’তে। তাহলেই হয়তো হবে। জয় না হোক অন্তত আরেকটি হারের বিশ্ব রেকর্ডের লজ্জায় ডুবতে হবে না!

বুধবার (১৮ অক্টোবর) মাশরাফিদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর ম্যাচটি দ. আফ্রিকার পার্লে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোরবর ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।